অদৃশ্য ও দৃশ্যমান চ্যালেঞ্জ জয় করে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি সিইসির

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন দৃশ্যমান ও অদৃশ্য নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বিজ্ঞাপন
কমিশনের ওপর প্রধান উপদেষ্টার পূর্ণ আস্থা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা সেই আস্থা অটুট রাখতে চাই।”
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি এসব কথা বলেন। তিনি জানান, কমিশন কোনো পক্ষের হয়ে কাজ করবে না, বরং আইন অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
বিজ্ঞাপন
একই অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কমিশনের মেরুদণ্ড সোজা রয়েছে এবং ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে শতভাগ পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করা হবে।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ মনে করেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার রোধ ও প্রবাসীদের ভোটগ্রহণ এ নির্বাচনের বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে সামনে আসবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ আসন্ন নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কঠোর সতর্কবার্তা দেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে কমিশন কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রক্ষা করবে না।
বিজ্ঞাপন
সানাউল্লাহ আরও বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার প্রধান কারণ ভেঙে পড়া নির্বাচন ব্যবস্থা। এই কমিশন পক্ষপাতমূলক কোনো নির্বাচনের চাপ বা নির্দেশ নেবে না।”
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি নাসির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, আনোয়ারুল ইসলামসহ ইসির শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বিজ্ঞাপন
ইসি সচিব আখতার আহমেদ আরও জানান, এবারের নির্বাচনকে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে দিতে কমিশন সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি তিনি বদলির বিষয়ে তদবির না করার জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।