ফ্লোটিলায় ইসরায়েলি হামলা, শহিদুল আলমের অবস্থান নিয়ে শঙ্কা

গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার পর বাংলাদেশের খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলমের অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রায় ৪০টিরও বেশি জাহাজ নিয়ে গঠিত এই ফ্লোটিলায় অংশ নিয়েছেন বিশ্বের ৪৪টি দেশের প্রায় ৫০০ কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক। মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার এই উদ্যোগে বাংলাদেশ থেকে যোগ দিয়েছেন শহিদুল আলম।
বুধবার (১ অক্টোবর) রাতে সমুদ্রে অভিযান চালিয়ে ইসরায়েল অন্তত ১৩টি জাহাজ আটক করেছে এবং সেখান থেকে দুই শতাধিক যাত্রীকে বন্দি করেছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থানবার্গও রয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
বিজ্ঞাপন
শহিদুল আলম বর্তমানে ‘কনসায়েন্স’ নামের একটি বড় জাহাজে আছেন বলে জানা গেছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, এ জাহাজ এখনও আটক হয়নি।
ফ্লোটিলায় যোগ দেওয়ার পর থেকে সামাজিক মাধ্যমে নিয়মিত বার্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন শহিদুল আলম। সর্বশেষ পোস্টে তিনি লিখেছিলেন— “আমরা বারবার যাত্রা করব। এই জলসীমা কারও ব্যক্তিগত নয়, ভূখণ্ডও তাদের নয়। ফিলিস্তিন মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের পদযাত্রা থামবে না।”
এ ছাড়া কয়েকটি ভিডিও বার্তায় তিনি ফ্লোটিলার পরিস্থিতি তুলে ধরেন। এক ভিডিওতে জানান, নজরদারির দায়িত্বে থাকার সময় একটি তুর্কি জাহাজ চোখে পড়লেও তখন পর্যন্ত কোনো বিপদের মুখে পড়েননি। আরেক বার্তায় তিনি বলেন, সন্ধ্যায় সাগর হঠাৎ উত্তাল হয়ে ওঠে। বজ্রপাতের মাঝেই তারা সামনে এগোনোর চেষ্টা করছিলেন। এ সময় খবর পান, ফ্লোটিলার সবচেয়ে সামনের জাহাজ ‘আলমা’-তে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা শুরু করেছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: বিজয়া দশমী আজ
শহিদুল আলম যোগ করেন, “আমরা পেছনের দিকের সবচেয়ে বড় জাহাজে আছি। আমাদের ভাগ্যে কী অপেক্ষা করছে, এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে ইসরায়েল আমাদের ভয় দেখাতে চাইছে, অন্যদের আক্রমণ করেই।”
শহিদুল আলমের জাহাজ এখনও আটক হয়নি ঠিকই, তবে তার নিরাপত্তা নিয়ে দেশ-বিদেশের মানুষের উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে।