নবজাতকের মুখ দেখার সৌভাগ্য হলো না ফায়ারফাইটার নুরুল হুদার

দেশের মানুষের জীবন বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করলেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ফায়ারফাইটার নুরুল হুদা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি আর দেখতে পেলেন না নিজের নবজাতকের মুখ।
বিজ্ঞাপন
গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মৃত্যু হয় এই অগ্নিনির্বাপক যোদ্ধার। তার মাত্র ১২ দিন পর, সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জন্ম নিল তার আরেক সন্তান—এক পুত্র। কিন্তু জন্মের প্রথম আলো দেখলেও শিশুটি চিরতরে বাবাকে দেখার সৌভাগ্য হারাল।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২২ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে টঙ্গীর সাহারা মার্কেট এলাকার একটি কেমিক্যাল গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে নামলে সেখানে দগ্ধ হন ফায়ারফাইটার নুরুল হুদা। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টানা দুই দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ২টা ৪০ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বিজ্ঞাপন
শুধু নুরুল হুদাই নন, ওই দুর্ঘটনায় ফায়ারফাইটার শামীম আহমেদ এবং ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর খন্দকার জান্নাতুল নাঈমও প্রাণ হারান।
মৃত্যুকালে নুরুল হুদা রেখে গেছেন সদ্যোজাত পুত্র সন্তান ছাড়াও ১০ বছরের এক কন্যা ও তিন বছরের এক পুত্র সন্তান।
বিজ্ঞাপন
১৯৮৭ সালের ২১ জুলাই ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার ধামাইল গ্রামে জন্ম নেওয়া নুরুল হুদা ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ফায়ার সার্ভিসে ফায়ার ফাইটার হিসেবে যোগ দেন। দায়িত্ব পালনকালে দেশ ও মানুষের সেবায় প্রাণ দিয়ে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।