বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুতি: আইনি পদক্ষেপ কি?

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কোনো কর্মচারীকে বিনা নোটিশে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া শ্রম আইনের পরিপন্থী বলে জানিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮) অনুযায়ী, কোনো কর্মচারীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিতে হলে নির্ধারিত নোটিশ বা নোটিশের পরিবর্তে মজুরির সমপরিমাণ অর্থ প্রদান বাধ্যতামূলক।
আইনের ধারা ২৬ অনুযায়ী, কোনো স্থায়ী কর্মচারীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিতে হলে অন্তত এক মাসের নোটিশ দিতে হবে, অন্যথায় নোটিশের পরিবর্তে এক মাসের বেতন দিতে হবে। নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ চাকরিচ্যুত করা হলে তা বেআইনি ছাঁটাই হিসেবে গণ্য হবে।
বিজ্ঞাপন
শ্রম আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম জনবাণীকে বলেন, “বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী শ্রম আদালতে মামলা করতে পারেন। আদালত চাকরি পুনর্বহাল, ক্ষতিপূরণ বা বকেয়া পাওনা আদায়ের নির্দেশ দিতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, অনেক বেসরকারি কোম্পানি শ্রম আইনের বিধান না জেনে কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে তা উপেক্ষা করে কর্মচারীদের প্রতি অন্যায় আচরণ করে। ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের আইনি পথে ন্যায়বিচার চাওয়াই একমাত্র উপায়।
বিজ্ঞাপন
শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুতি হলে কর্মচারীরা প্রথমে লিখিত অভিযোগ দিতে পারেন। কোম্পানি যদি সমাধান না দেয়, তবে শ্রম অধিদপ্তর বা শ্রম আদালতে মামলা দায়েরের সুযোগ রয়েছে।
আইন বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, চাকরির চুক্তিপত্র ও চাকরিচ্যুতির লিখিত প্রমাণ সংরক্ষণ করলে আদালতে প্রমাণ হিসেবে তা কার্যকর ভূমিকা রাখে।