হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল

চলতি বছরের হজ নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আশানুরূপ নিবন্ধন না হওয়ায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া বিকল্প ছিল না। ফলে এবারও হজ কোটার একটি বড় অংশ খালি থেকে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ-৩ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
হজ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (১১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন ২ হাজার ৯১২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৯ হাজার ১০৫ জনসহ মোট ২২ হাজার ১৭ জন হজযাত্রী। অথচ চলতি বছর বাংলাদেশের হজের মোট কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন।
বিজ্ঞাপন
সৌদি সরকারের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, রবিবার (১২ অক্টোবর) ছিল হজ নিবন্ধনের শেষ দিন। হজযাত্রীদের সুবিধার্থে শনিবারও হজ কার্যক্রমে যুক্ত ব্যাংকগুলোর নির্দিষ্ট শাখা খোলা রাখা হয়েছিল।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে হজ এজেন্সিগুলোর উদ্দেশে পাঠানো এক তাগিদ পত্রে বলা হয়েছে, সৌদি সরকারের রোডম্যাপ অনুযায়ী ২০২৬ সালের হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা ১২ অক্টোবর শেষ হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ৩২৯টি এজেন্সি কোনো হজযাত্রী নিবন্ধন করেনি।
হজ প্যাকেজ ও গাইডলাইন ২০২৬ অনুযায়ী, প্রতিটি এজেন্সিকে ন্যূনতম ৪৬ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করতে হবে। কোনো এজেন্সি যৌক্তিক কারণ ছাড়া এই শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছে মন্ত্রণালয়। একইভাবে, ৪৮টি এজেন্সি কোনো প্রাক-নিবন্ধন বা প্রাথমিক নিবন্ধনই করেনি বলেও জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, "অনেকে সম্প্রতি ওমরাহ পালন করায় হজে আগ্রহ কম দেখাচ্ছেন। অনেকের ধারণা, ওমরাহ করলে আর হজ করার প্রয়োজন নেই। এই ভুল ধারণার কারণেও সাড়া কম।"
তিনি আরও বলেন, "শেষ মুহূর্তে নিবন্ধনের সংখ্যা বাড়বে। তাছাড়া এবার প্রক্রিয়াটি আগেভাগে শুরু হওয়ায় অনেকেই বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি।"
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ২৬ মে অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র হজ।