মুফতি মুহিব্বুল্লাহর অপহরণের রহস্য ফাঁস, উদঘাটন করলেন জুলকার নাইন

টঙ্গীতে মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজীর অপহরণের দাবিকে সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ভিত্তিহীন বলে প্রকাশ করেছেন প্রবাসী সাংবাদিক জুলকার নাইন সায়ের।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করে জানান, মুফতির অপহরণের দাবি সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে মেলে না।
জুলকার নাইন সায়ের পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, সকল সিসিটিভি ফুটেজ সংযুক্ত ভিডিওটি দেখুন। নিজ জ্ঞান, বুদ্ধি ও বিবেচনার সঠিক প্রয়োগ করে ঘটনার উদ্দেশ্য বুঝে নিন।
বিজ্ঞাপন
মুফতি মুহিব্বুল্লাহ দাবি করেছিলেন, গত ২২ অক্টোবর সকাল ৭টার দিকে টঙ্গীর শিলমুন এক্সিস লিংক সিএনজি ফিলিং অ্যান্ড কনভার্সন সেন্টারের সামনে থেকে তাকে অপহরণ করে একটি অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া হয়। তবে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তার দাবি মেলেনি।
ফুটেজ অনুযায়ী, সকাল ৬টা ৫২ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে মুহিব্বুল্লাহ তার বাসা থেকে বের হন। তিনি বাম হাতে দরজা খোলেন, বের হওয়ার সময় পেছন ফিরে তাকাননি এবং টিনের দরজাটি বন্ধ হয়ে যায়। সকাল ৬টা ৫৩ মিনিট ২৫ সেকেন্ডে তিনি মসজিদ ত্যাগ করেন এবং ৬টা ৫৪ মিনিটে টঙ্গী টু কালীগঞ্জগামী আঞ্চলিক সড়কে কালীগঞ্জের দিকে রওনা হন। তিনি সাদাপাঞ্জাবি-পাজামা ও কালো পাগড়ি পরিহিত ছিলেন।
মুহিব্বুল্লাহর বাসার আশেপাশের শিলমুন এক্সিস লিংক সিএনজি ফিলিং অ্যান্ড কনভার্সন সেন্টারের চারটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সকাল ৭টা ১৮ মিনিটে তিনি ফিলিং স্টেশনের সামনে একাই দ্রুত হেঁটে যাচ্ছেন। এখানে তাকে অপহরণের চেষ্টা করা অ্যাম্বুলেন্সের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পুলিশের স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজেও মুহিব্বুল্লাহ একাই চলেছেন।
বিজ্ঞাপন
ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. সোলেইমান জানান, তিন দফায় পুলিশের বিভিন্ন শাখা আমাদের সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ করেছে। আমাদের ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে হুজুরকে অপহরণ করা হয়নি।
ফুটেজ বিশ্লেষণ অনুযায়ী, মুহিব্বুল্লাহ ৬টা ৫৪ মিনিটে বাসা থেকে রওনা হয়ে সকাল ৭টা ১৮ মিনিটে ফিলিং স্টেশনে পৌঁছান। এ সময় কোনো বাহ্যিক হস্তক্ষেপ বা অপহরণের ঘটনা ঘটেনি।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় জুলকার নাইন সায়েরের তথ্য অনুসারে, মুহিব্বুল্লাহর অভিযোগের সঙ্গে প্রমাণ মিলছে না এবং বিষয়টি জনসাধারণকে সঠিকভাবে বোঝানোর জন্য সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। এই বিশ্লেষণ বিপুল আগ্রহের জন্ম দিয়েছে এবং স্থানীয় ও সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।









