Logo

নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত সেনাবাহিনী

profile picture
নিজস্ব প্রতিবেদক
৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:০৪
8Shares
নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত সেনাবাহিনী
ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনগণের মতো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন সেনাসদরের ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জাতীয় স্থিতিশীলতা আরও জোরদার হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকতার দিকে আরও এগোবে।

গতকাল ঢাকা সেনানিবাসের মেসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। এতে ডিএমআই পরিচালক, আইএসপিআর পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জেনারেল মাইনুর রহমান জানান, সরকারের কাঠামো ও সময়সূচি অনুযায়ী নির্বাচন দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা এবং স্থিতিশীলতা বাড়াবে এবং সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরে যেতে সহায়তা করবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সেনাবাহিনীর সম্ভাব্য দায়িত্ব মাথায় রেখে বর্তমানে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। গত ১৫ মাস ধরে সেনাবাহিনী ব্যারাকের বাইরে কঠিন পরিস্থিতিতে মোতায়েন রয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদে প্রশিক্ষণে প্রভাব ফেলতে পারে।

অপপ্রচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু মহল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনাবাহিনী ও নেতৃত্বকে কলঙ্কিত করতে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে—এটি দুঃখজনক। সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য বাহিনী প্রধান ও নেতৃত্বের প্রতি অনুগত এবং বাহিনী আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ বলে তিনি মন্তব্য করেন। মিথ্যা প্রচারণায় প্রতিক্রিয়া দেখানোর প্রয়োজন নেই—সত্যিকারের কর্মই এর উত্তর।

বিজ্ঞাপন

গত ১৫ মাসে দায়িত্ব পালনের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, বন্যা ও সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন সংকট মোকাবিলায় সেনাবাহিনী উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। বনলতা এক্সপ্রেস ও পাহাড়ি অঞ্চলে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলো যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি আমাদের সতর্কতা ও সাফল্যের দৃষ্টান্ত।

সংবাদ সম্মেলনে এমওডি পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল দেওয়ান মোহাম্মদ মনজুর হোসেন বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার কিংবা নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার বিষয়ে গুঞ্জন থাকলেও সেনাবাহিনী সরকারের নির্দেশনা ও নির্বাচন কমিশনের পরিপত্র অনুযায়ী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করবে। নির্বাচনের সময় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাসদস্য মাঠে থাকবে—যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। জেলা, উপজেলা ও আসনভিত্তিক ক্যাম্প স্থাপন করে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, সরকারের চিঠি অনুযায়ী মাঠে থাকা সেনাসদস্যদের অর্ধেক প্রত্যাহারের বিষয়টিও পরিস্থিতি বিবেচনায় বাস্তবায়ন করা হবে। গত ১৫ মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার, শীর্ষ অপরাধীদের গ্রেপ্তার, কিশোর গ্যাং ও চাঁদাবাজ দমনে সেনাবাহিনী ১৯ হাজারের বেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সারা দেশে সিএমএইচগুলোতে ৫ হাজার ৩৮৮ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও কূটনৈতিক নিরাপত্তায়ও সেনাবাহিনী কাজ করছে।

অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতি প্রসঙ্গে এজি শাখার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আইনের ব্যাখ্যা স্পষ্ট না হওয়ায় সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষা চলছে। আইসিটি আইনের সাম্প্রতিক সংশোধনীতে সরকারি চাকরিতে অযোগ্যতার বিষয় উল্লেখ থাকলেও সেনা কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এর প্রয়োগব্যাপ্তি ও প্রক্রিয়া আরও স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। দুটো বিশেষ আইন—সেনা আইন ১৯৫২ ও আইসিটি আইন ১৯৭৩—একটির সঙ্গে আরেকটি সংঘাতে যাবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। সরকারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে এবং আইন অনুসৃত হবে।

জেবি/এসএ
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD