মামুনের সাজায় শহীদ পরিবার ও আহতদের ক্ষোভ, পুনর্বিবেচনার দাবি

সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ মামুনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও আহতরা। তাদের দাবি—এ রায় বাস্তব অপরাধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং এই সাজা তারা কোনোভাবেই মেনে নিচ্ছেন না। ন্যূনতম যাবজ্জীবন কারাদণ্ডই ছিল তাদের প্রত্যাশা।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শহীদ পরিবার ও আহতরা বলেন, মামুনের নির্দেশেই আন্দোলনকারীদের ওপর বর্বর হামলা ও গণহত্যা চালানো হয়েছিল। সেই অপরাধের তুলনায় পাঁচ বছরের সাজা ‘অত্যন্ত নগণ্য’ বলে অভিহিত করেন তারা।
জুলাই শহীদ মাহমুদুর রহমান সৈকতের বোন সেমন্তী জানান, মামুন রাজসাক্ষী হওয়ার কারণেই শাস্তি কমানো হয়েছে—যা তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আইজিপি মামুন যে পরিমাণ অপরাধ করেছে, পাঁচ বছরের শাস্তি তার তুলনায় কিছুই নয়। আমরা এই রায় প্রত্যাখ্যান করছি।
তিনি আরও বলেন, যাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত রায় কার্যকরের ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু রায় ঘোষণা নয়, আমরা সেই রায়ের বাস্তবায়ন চোখে দেখতে চাই। ততক্ষণ লড়াই থামবে না।
আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা জানান, তাদের কারও ভাই, কারও সন্তান, কারও শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হারিয়ে গেছে—যা আর কোনোদিন ফিরে আসবে না। তাই ন্যূনতম ন্যায়বিচার পেতে হলেও তারা দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেন।
বিজ্ঞাপন
শহীদ মুগ্ধর ভাই মীর স্নিগ্ধ বলেন, আমার ভাইকে রাস্তায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এখন আইন নয়, মানবিক দিক বিবেচনা করুন। শহীদ পরিবারগুলোর যে মানসিক অবস্থা—সেটা থেকে মাত্র পাঁচ বছরের শাস্তি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি আরও বলেন, মামুনের ফাঁসিই হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু রাজসাক্ষী হওয়ার সুবিধা নিয়ে সে শাস্তি কমিয়ে নিয়েছে। তারপরও আমরা অন্তত যাবজ্জীবন সাজার দাবি জানাচ্ছি।
বিজ্ঞাপন
শহীদ পরিবার ও আহতরা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, রায়ের পুনর্বিবেচনা এবং অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী কঠোর শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন ও দাবিদাওয়া চলবে।








