কী কারণে রোজা ভেঙে যায়?

রোজার মাসে প্রাপ্তবয়স্ক সামর্থ্যবান মুসলমানদের ওপর রোজা রাখা ফরজ। এ
বিজ্ঞাপন
পবিত্র রামজান মাসের প্রথম রোজা শেষ হয়েছে। ইসলামের পরিভাষায় রোজা হলো সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাবার পানীয় ও যৌনমিলন থেকে বিরত থাকা। আল্লাহ তাআলা বলেন, “তোমরা পানাহার করো যতক্ষণ রাতের কৃষ্ণরেখা থেকে উষার শুভ্ররেখা স্পষ্টরূপে তোমাদের কাছে প্রতিভাত না হয়। অতঃপর রাত আসা পর্যন্ত রোজা পূর্ণ করো।” (সুরা বাকারা: ১৮৭)
রোজার মাসে প্রাপ্তবয়স্ক সামর্থ্যবান মুসলমানদের ওপর রোজা রাখা ফরজ। এ সময়ে রোজা রেখে ইচ্ছাকৃত এই কাজগুলোর কোনোটি করলে রোজা ভেঙে যাবে, রোজাটির কাজা করতে হবে, কাফফারাও দিতে হবে। অর্থাৎ ওই রোজাটির পরিবর্তে আরেকটির রোজা রাখার পাশাপাশি একটি গোলাম আজাদ করতে হবে অথবা ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা ভালোভাবে তৃপ্তিসহকারে আহার করাতে হবে অথবা ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজা রাখতে হবে। এ ছাড়া আরো কিছু কারণে রোজা ভেঙে যায়, কিন্তু শুধু কাজা ওয়াজিব হয়, কাফফারা দিতে হয় না।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: শুরু হলো পবিত্র মাহে রমজান
বিজ্ঞাপন
আসুন জেনে নিই যেসব কারণে রোজা ভেঙে যায়
প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ বা অন্য কিছু শরীরে প্রবেশ করালে, কান বা নাক দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করালে রোজা ভেঙে যাবে, পরবর্তীতে কাজা করে নিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
রমজান মাসের দিনের বেলা ইসলাম ত্যাগ করলে বা মুরতাদ হয়ে গেলে তার রোজা ভেঙে যাবে। ইসলামে আবার ফিরে আসলে ওই রোজাটি কাজা করে নিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
কেউ যদি ইচ্ছা করে রমজান মাসের দিনের বেলা যৌনমিলন করে অথবা পানাহার করে, তবে তার রোজা ভেঙে যাবে। কাজা করতে হবে, কাফফারাও দিতে হবে।
মেয়েদের মাসিক ও সন্তান প্রসবের পরবর্তী ঋতুস্রাবের সময় রোজা রাখা নিষিদ্ধ। রোজাদার অবস্থায় মাসিক শুরু হলে অথবা সন্তানের জন্ম হলে রোজা ভেঙে যাবে। পরবর্তী সময়ে এই রোজা কাজা করে নিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
ইচ্ছা করে বমি করলে রোজা ভেঙে যাবে, বমি মুখে চলে আসর পর ইচ্ছাকৃত তা গিলে ফেললে রোজা ভেঙে যাবে, শুধু কাজা করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
রোজা থাকার কথা ভুলে গিয়ে কোনো কিছু খেয়ে ফেললে রোজা ভাঙবে না। তবে ভুলবশত খাওয়ার পর রোজা ভেঙে গেছে ভেবে ইচ্ছা করে আরো কিছু খেলে রোজা ভেঙে যাবে।
আরও পড়ুন: সেহরি ও ইফতারে যা খেতেন মহানবী (সা.)
বিজ্ঞাপন
জিহ্বা দিয়ে দাঁতের ফাঁক থেকে একটি ছোলার সমান বা এর চেয়ে বড় কোনো কিছু বের করে খেয়ে ফেললে রোজা ভেঙে যাবে, পরে কাজা করে নিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
কুলি করার সময় অনিচ্ছায় গলার ভেতর পানি প্রবেশ করলে, রাত অবশিষ্ট আছে মনে করে সুবহে সাদিকের পর পানাহার করলে, ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করলে, রোজা স্মরণ থাকা অবস্থায় অজুতে কুলি বা নাকে পানি দেওয়ার সময় ভেতরে পানি চলে গেলে রোজা ভেঙে যাবে, কাজা করে নিতে হবে।
জেবি/এসবি