সেহরি ও ইফতারে যা খেতেন মহানবী (সা.)


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০৯ অপরাহ্ন, ১১ই মার্চ ২০২৪


সেহরি ও ইফতারে যা খেতেন মহানবী (সা.)
ফাইল ছবি

দেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আগামীকাল থেকে রোজা শুরু। রোজা হলো সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, পঞ্চইন্দ্রিয়ের দ্বারা গুনাহের কাজ ও যৌনসঙ্গম থেকে বিরত থাকা। রমজান মাসে ইবাদত করলে সত্তর গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।


রোজাদার ব্যক্তির  সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত ইফতার ও সেহরির সময়। কারণ, এ সময় আল্লাহতাআলা রোজাদার বান্দাদের দোয়া কবুল করেন এবং ইফতারের মাধ্যমেই একজন রোজাদার তার রোজা সম্পন্নের পর মহান আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করেন।


মহানবি (সা.) সেহরি ও ইফতারে আলাদা কোনও খাবার আয়োজন করতেন না। স্বাভাবিক সময়ে যে খাবারগুলো খেতেন, সেহরি ও ইফতারেও সেগুলো খেতেন।


রাসুল (সা.) প্রতিটি কাজই মুসলমানদের জীবেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যেসব কাজ করতেন তাই আল্লাহতায়ালা সুন্নত করে দিয়েছেন। আল্লাহর আদেশ মতে, যে রাসুল (সা.)-এর আদর্শকে জীবনে বাস্তবায়িত করতে পারবে সেই হবে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলকাম। নিয়মিত খাবারই মহানবি (সা.) সেহরি ও ইফতারে খেতেন। তবে খেজুর দিয়ে সেহরি ও ইফতার করা তিনি পছন্দ করতেন।


খেজুর দিয়ে সেহরি খাওয়াকে সেরা সেহরি বলেছেন মহানবি (সা.)। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবি (সা.) বলেন, “খেজুর কতই না উত্তম সাহরি!” (আবু দাউদ: ২৩৪৫)


আরও পড়ুন: রোজার নিয়ত করবেন যেভাবে


হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, “নবি (সা.) নামাজের আগে কয়েকটি কাঁচা খেজুর খেয়ে ইফতার করতেন। যদি কাঁচা খেজুর না থাকত, তাহলে শুকনো খেজুর দিয়ে। যদি শুকনো খেজুরও না থাকত তাহলে কয়েক ঢোক পানি দিয়ে।” (তিরমিজি: ৬৩২)


অন্য হাদিসে হজরত সালমান ইবনে আমির (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “তোমাদের কেউ রোজা রাখলে খেজুর দিয়ে যেন ইফতার করে, খেজুর না হলে পানি দিয়ে; নিশ্চয়ই পানি পবিত্র।” (আহমাদ, তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ ও দারেমি)


আরও পড়ুন: তারাবির নামাজে গুরুত্ব দেবেন যে কারণে


খেজুর ছাড়াও তৎকালীন আরবে প্রচলিত অন্যান্য খাবারও খেতেন মহানবি (সা.)। আবদুল্লাহ ইবনে আবি আউফ (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রোজায় আমরা রাসুল (সা.)-এর সফরসঙ্গী ছিলাম। সূর্যাস্তের সময় তিনি একজনকে ডেকে বললেন, ছাতু ও পানি মিশিয়ে ইফতার পরিবেশন করো।’ (মুসলিম: ১০৯৯)


হজরত মোহাম্মদ ( সা.)-এর পছন্দের প্রতিটি খাবার ছিল পুষ্টিগুণে অতুলনীয়। তিনি কখনও এমন খাবারকে প্রাধান্য দিতেন না যা শরীরের জন্য কষ্টকর বা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।


জেবি/এসবি