কোন চাপে গরুর মাংসের দাম বাড়ালেন খলিল?
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, ২২শে মার্চ ২০২৪
বিগত কয়েক বছর ধরে সারাদেশে যখন উচ্চমূল্যে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছিল সেই মুহূর্তে ৬৫০ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসেন শাহজাহানপুরের মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। সবশেষ চলতি রমজানে ৫৯৫ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি করে ক্রেতাদের ব্যাপক সাড়া পান তিনি। ঘোষণা দেন, ২৫ রোজা পর্যন্ত এই দামে মাংস বিক্রি করবেন। তবে সবাইকে হতবাক করে ১০ রোজার আগেই মাংসের দাম বাড়িয়েছেন মাংস ব্যবসায়ী খলিল। প্রতি কেজি মাংসের দাম ১০০ টাকা বাড়িয়ে এখন ৬৯৫ টাকা করেছেন তিনি। হঠাৎ দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন ‘চাপে আছেন’।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকালে মাংসের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করে খলিল বলেন, ‘খামার থেকে যে দামে গরু কিনতে হচ্ছে, তাতে ৫৯৫ টাকা দরে মাংস বিক্রি করে পোষাতে পারছিলাম না। লোকসানে পড়তে হচ্ছে। ক্রেতাদের ভিড় অনেক। বাধ্য হয়ে মাংসের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বাড়াতে হয়েছে।’
আরও পড়ুন: রমজানে যেখানে পাওয়া যাবে ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস
লোকসানে পড়ার কারণ জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, আগে কিছুটা কম দামে গরু কিনতে পারছিলাম। কিন্তু এখন আর আগের দামে গরু পাচ্ছি না। আমার নিজের যেহেতু খামার নেই, তাই বাড়তি দামে গরুর কেনা হলে মাংসের দাম না বাড়িয়ে উপায় থাকে না।
তবে ‘নানামুখী চাপ’ বলতে খলিল কী বোঝাচ্ছেন কিংবা কী ধরনের চাপ আছে, তা তিনি পরিস্কার করে বলেন নি। তিনি বলেন, ‘আমি এখন আর খুব বেশি কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই।’ পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলা যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের শেষ দিকে বাজারে যখন প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। তখন কম দামে মাংস বিক্রি করে প্রথম আলোচনায় আসেন খলিলুর রহমান।
আরও পড়ুন: মাংস ব্যবসায়ী খলিলকে জীবন নাশের হুমকি, নিরাপত্তা চেয়ে জিডি
সম্প্রতি কম দামে মাংস বিক্রির জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সম্প্রতি বিশ্ব ভোক্তা দিবসের অনুষ্ঠানে এই ব্যবসায়ীকে ‘ব্যবসায় উত্তম চর্চার স্বীকৃতি’ দিয়ে পুরস্কৃত করেছে।
জেবি/এজে