তীব্র গরমে জাবিতে চলছে পাঠক্রম, শিথিলতা নেই ক্লাস সিডিউলে
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:১৬ অপরাহ্ন, ২২শে এপ্রিল ২০২৪
ঈদুল ফিতর ঈদের ছুটি কাটিয়ে শুরু হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শ্রেণী পাঠদান ও ক্লাস পরিক্ষা। অস্বাভাবিক গরম সারাদেশে হিট এলার্ট জারি রাখলেও সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই জাবি প্রশাসনের। তীব্র গরমের মধ্যে ক্লাস শুরু হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
মৌসুমের তাপমাত্রা দিনকে দিন রেকর্ড ভাঙছে। তীব্র তাপপ্রবাহ এখন অতি তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। গত শুক্রবার তিন দিনের হিট এলার্ট ঘোষণা করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাথে পরামর্শক্রমে প্রাথমিক স্কুলসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ২৫ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাবিতে গবেষণাগার স্টাফদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু
তীব্র গরমে অর্ধদিন ক্লাস করে অস্বস্তি প্রকাশ করে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী পিয়াস কুমার বলেন, তীব্র গরমে আমাদের রাতে ঘুম হয় না। ফলে সকালে আমাদের মাথা ব্যাথা থাকে। এ সময় ক্লাস হলে কেবল আমরা শারীরিক ভাবে সেখানে উপস্থিত থাকব মানসিকভাবে সেখানে উপস্থিত থাকা সম্ভব নয়। আমাদের দাবি হচ্ছে ক্লাস স্থগিত না করলেও অন্তত মর্নিং শিফটে নিয়ে আসা অথবা অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করা। যেখানে ঢাবি,জবি অনলাইনে ক্লাস দিয়ে দিছে সেখানে আমরা এই গরমে অফলাইনে ক্লাস করতেছি।
গনিত ও পরিসংখ্যান অনুষদের শিক্ষার্থী ফেরদৌস আল হাসান বলেন, সকাল থেকে ক্লাস শুরু হয়ে ল্যাব ক্লাস শেষ হতে প্রায় সাড়ে ৪ টা বেজে যায়। আমাদের ক্লাস সিডিউলেও কোনো শিথিলতা নেই। স্বাভাবিক সময়ে আমরা ক্লান্ত হয়ে যাই। আর এই তীব্র গরমে বড় ধরনের কোন সমস্যা হতে পারে। এদিকে ডিপার্টমেন্টের রুমে এসি /ফ্যান বিকল হয়ে আছে রিপেয়ার করায় না। তাই আপাতত ক্লাস স্থগিত রাখার দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: ইবির শেখ রাসেল হল প্রভোস্টের দায়িত্বে অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম
গরমে ক্লাস পরীক্ষা চালু থাকায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ঢাকা থেকে আগত শিক্ষার্থী। তীব্র গরমে দীর্ঘ সময় বাসে এসে ক্লাস করা তাদের জন্য অসহনীয় হয়ে পড়েছে। ঢাকা থেকে ক্লাস করতে আসা তাজবীদ শান বলেন, এই গরমে যেখানে রুমে বসে থাকা যায় না সেখানে আমাদের প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ ঘন্টা বাসে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এছাড়াও ফেরার সময় যানজটের কবলে পরতে হয়। যেকোন সময় যে কেউ অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। আমাদের দাবি থাকবে যাতে ক্লাস স্থগিত করে অনলাইনে ক্লাস নেয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ থাকা সত্ত্বেও তীব্র গরমে অফলাইনে ক্লাস চলমান থাকবে কিনা এ বিষয়ে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, আমরা আবহাওয়াটা অবজার্ভ করতেছি। আমাদের একটা ফরমাল বডি আছে তাদের সাথে আলাপ করে দেখবো তারপর সিধান্ত জানাবো।
জেবি/এসবি