Logo

সয়াবিনের বিকল্পে সুর্যমূখী চাষে আগ্রহ বাড়ছে শ্রীনগরের কৃষকদের

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ২৪:৩৪
74Shares
সয়াবিনের বিকল্পে সুর্যমূখী চাষে আগ্রহ বাড়ছে শ্রীনগরের কৃষকদের
ছবি: সংগৃহীত

সূর্যমুখী ফুলের ভালোবাসার ডাকে সারা দিয়ে অনেকেই ছুটে আসছেন জমিতে।

বিজ্ঞাপন

বির্স্তীণ আড়িয়ল বিল এলাকার বাড়ৈখালীতে সূর্যমূখীর ফুলে হাসিতে জৌলুস ছড়াচ্ছে। এ ফুলের হাঁসিতে যেন ফাগুনকে আরো রাঙিয়ে তুলেছে। ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে সূর্যমুখীর ক্ষেতটি ঘুরে দেখতে আসছেন স্থানীয়রা। পুর্ব বাড়ৈখালীর মরহুম হায়াত আলীর পুত্র মো. মোরছালিম প্রায় ২ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করে অত্র এলাকায় সাড়া ফেলেছেন। প্রতিদিন বিকালে দৃষ্টিনন্দিন সূর্যমুখী ফুলের ভালোবাসার ডাকে সারা দিয়ে অনেকেই ছুটে আসছেন জমিতে। 

মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় সূর্যমুখী ফুলের সাথে ছবি-সেলফি তুলে কিছুটা সময় কাটাতে দেখা গেছে দর্শনার্থীদের। এ সময় বাড়ৈখালীর জহিরুল ইসলাম রিন্টু ও হেলালউদ্দিন জানান, মোরছালিমের সূর্যমুখীর জমিটি দেখতে এসেছেন তারা। ফুলের হাসিতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। আড়িয়ল বিল এলাকায় এক চিলতে জমিতে সূর্যমুখী ফুলের মিলনমেলায় বিলের সবুজ প্রকৃতিকে আরো অসম্ভব সৌন্দর্য করে তুলেছে। 

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

শ্রীধরপুরের মো. সোহেল বলেন, পরিবার পরিজন নিয়ে সূর্যমূখী ফুলেদের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছেন তিনি। শ্রীনগর সদর এলাকার মো. অমিত খান, আব্দুর রকিব ও বাঘড়া এলাকার মো. মুনীরুল বলেন, লোক মুখে তারা জানতে পেরে সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বাড়ৈখালীতে ছুটে এসেছেন তারা। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বীরতারা, আটপাড়া, গাদিঘাট ও ভাগ্যকুলের পদ্মার চরের কিছু জমিতে সূর্যমূখীর চাষ করা হচ্ছে। ধারনা করা হচ্ছে মাসখানের মধ্যে সূর্যমুখী ফুল থেকে কাঙ্খিত তেলবীজ সংগ্রহ করা হবে। সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, দানাদার সূর্যমুখীর তেলবীজ থেকে ভোজ্যতেল উৎপাদণে স্থানীয়রা উৎসাহিত হচ্ছেন। 

বিজ্ঞাপন

এ বছর বীজ বপণের পর ঝূর্ণিঝড় মিকজাউমের প্রভাবে ও টানা বৃষ্টিতে এ অঞ্চলে সূর্যমূখীর কিছু জমি আক্রান্ত হয়। গেল বছর প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে সূর্যমূখীর চাষাবাদ হয়। এ বছরও পদ্মার চরসহ উপজেলার বিভিন্ন চকে প্রায় ৭০-৮০ বিঘা জমিতে সূর্যমূখীর চাষ করা হচ্ছে। 

বিজ্ঞাপন

বাড়ৈগাঁও গ্রামের মো. জুনায়েদ, বীরতারার আমির হোসেন, তিনটেকের রনিসহ অন্যান্য উদ্যোক্তা জানান, গেল বছর ঝড়ের কবলে সূর্যমূখীর ক্ষেতিতে তাদের সুবিধা হয়নি। তারা জানান, সূর্যমূখী দেখতে শুধু রুপময় নয়, এর বীজ গুণেও অনন্য। সূর্যমুখীর তেল স্বাস্থ্যের জন্য অসাধারণ, পুষ্টিগুণে ভরা। 

বিজ্ঞাপন

যে কোন তেলবীজ থেকে সূর্যমুখী ফুলের বীজ শ্রেষ্ঠ। বারি-২, বারি-৩ ও প্যাসিফিক হাইসান-৩৩ জাতের সূর্যমুখীর চাষে অধিক লাভবান হওয়া যায়। প্রতি বিঘা জমিতে ১ কেজি সূর্যমুখীর বীজ লাগে। ৯০ থেকে ১১০ দিনের মধ্যে সূর্যমুখীর ফুল থেকে তেলবীজ সংরক্ষণ করা যায়। বিঘায় কমপক্ষে ৬-৭ মণ বীজ উৎপাদণ হয়ে থাকে। গেল বছর প্রকার ভেদে প্রতিমণ সূর্যমুখীর তেলবীজের বাজার দর পান ২৮০০-৩২০০ টাকা। সমপরিমান বীজ থেকে প্রায় ১৮ লিটার তেল উৎপাদণের পাশাপাশি ২০-২২ কেজি খৈ-ইল পাওয়া যায়। 

বিজ্ঞাপন

শ্রীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোহসিনা জাহান তোরণ জানান, উচ্চ ফলনশীল সূর্যমুখীর চাষে উৎসাহ বাড়াতে প্রণোদনার আওতায় এ বছর স্থানীয় ৪০ জন উদ্যোক্তাকে বিনামূল্যে বীজ ও প্রয়োজনীয় সার প্রদান করা হয়েছে।

আরএক্স/ 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD