‘এই তুই কে? আমরা ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের গুনি না’

এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হোক
বিজ্ঞাপন
‘দায়িত্ব পালনকালে একজন পুলিশ সদস্য এমন বলেছে যে, এই তুই কে? ভিডিও করছিস কেন? তখন দৈনিক আজকের পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি পরিচয় দিলে তিনি বলেন, 'আমরা ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের গুনি না।' এই বলে তিনি মারতে তেড়ে আসেন। পরবর্তীতে আমার বাকি সহকর্মীরা এগিয়ে আসলে ঐ পুলিশ পিছিয়ে চলে যায়’।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাংবাদিকের ওপর বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) কোটাবিরোধী আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্বপালনের সময় পুলিশ প্রশাসনের নেক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন দৈনিক আজকের পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আতিকুর রহমান তনয়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
তিনি আরো বলেন, 'সাংবাদিকদের উপর পুলিশ প্রশাসন টিয়ার শেল বা লাঠিচার্জ কিভাবে করে, সেটা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। এভাবে গণমাধ্যমের কন্ঠ রোধ চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।'
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হাসানের সভাপতিত্ব এবং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাভেদ রায়হানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার, অনুপ্রাস, বৃত্ত কুবিসহ অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
এসময় সাম্প্রতিক দেশকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি শারমিন আক্তার কেয়া বলেন, 'বৃহস্পতিবার আনসার ক্যাম্পের সামনে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দায়িত্বরত সাংবাদিকদের উপরও পুলিশ প্রশাসন হামলা চালায়। তৎক্ষনাৎ গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদ করলে তারা জানায় তদন্ত সাপেক্ষে সেটার বিচার করবে। আমরাও চাই, এটার সুষ্ঠু বিচার হোক। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।'
বিজ্ঞাপন
কুবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি ইকবাল হাসান বলেন, ‘আমার তিনজন সহকর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও একাধিক সাংবাদিককে পুলিশ মানসিকভাবে হেনস্তা করেছে, যা গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরার চেষ্টা বলে আমাদের কাছে দৃশ্যমান। সাংবাদিকদের ওপর এই হামলা এবং হেনস্তার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব আশা করি এই হামলার যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার করা হবে এবং দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
বিজ্ঞাপন
এর আগে গতকাল পুলিশের হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক আমাদের সময়ের প্রতিনিধি অনন মজুমদার, চ্যানেল আইয়ের সৌরভ সিদ্দিকী এবং ক্যাম্পাস টাইমসের আল শাহরিয়ার অন্তু আহত হলে তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ছাড়াও পুলিশের লাঠিচার্জের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিনিধি জাভেদ রায়হান এবং দৈনিক ঢাকা টাইমস পত্রিকার এমদাদুল হক।
এমএল/