জাবিতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

রাতের অন্ধকারে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে রাতের অন্ধকারে গাছ কাটার নীতি আমরা চাই না
বিজ্ঞাপন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রদল (বাবর গ্রুপ) কর্তৃক সমন্বয়ককে মারধরের ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ এবং দলীয় ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকাল চারটায় বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মহুয়ামঞ্চ থেকে শুরু হয়ে নতুন প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে বটতলায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ এর মাধ্যমে শেষ হয়।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার্থীদের তিনদফা দাবিগুলো হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ে পনেরো জুলাই শিক্ষার্থীদের উপর হামলার মদদদাতা এবং দলীয় রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের অবিলম্বে পদত্যাগ, ছাত্রদল (বাবর গ্রুপ) কর্তৃক সমন্বয়ককে মারধরের হুমকি এবং দলীয় ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ।
বিজ্ঞাপন
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল হাই স্বপন বলেন, দলীয় লেজুড়বৃত্তিক শিক্ষক আমরা চাই না, ক্যাম্পাসের সকল শিক্ষক-ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। দলীয় কোন ছাত্র সংগঠন অবকাঠামো নির্মাণকাজে বাধা প্রদান করে টেন্ডারবাজী করবে এইটা আমরা চাই না। রাতের অন্ধকারে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে রাতের অন্ধকারে গাছ কাটার নীতি আমরা চাই না। প্রত্যেকটা শিক্ষক শিক্ষার্থীবান্ধব হবে ক্যাম্পাসের উন্নয়ন হবে এটাই আমাদের চাওয়া।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশ সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আঞ্জুম শাহরিয়ার বলেন, আপনারা জানেন পূর্ববর্তীতে একধরনের সন্ত্রাস ক্যাম্পাসে অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল। এখন আরেকটি দল নতুন করে অরাজকতা সৃষ্টি করার পায়তারা করছে। আমরা সেটি হতে দিবো না। অন্যদিকে শিক্ষকরা বিভিন্ন দলের ব্যানারে দলীয় লেজুড়ভৃত্তিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিল। আমরা এখন চাই যে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পাঠদান করবেন তারা কোনো লেজুড়বৃত্তিক দলীয় রাজনীতির সাথে থাকবেন না। তারা শুধু একাডেমি শিক্ষা দিবেন এটাই আমাদের দাবি।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ঢাবির নতুন ভিসি ড. নিয়াজ আহমেদ খান
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়াম বলেন, কোনো একটি গোষ্ঠী যখন জাবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুর রশীদ জিতুর উপর হামলা করার ষড়যন্ত্র করেছে তখন আমরা বিশ্বাস করি তারাও একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই জাহাঙ্গীরনগরে নিপিড়নের কোনো ঠাই নেই। আমরা রক্তঝরা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বিজয় অর্জন করেছি প্রয়োজনে আমরা আবার আন্দোলনে যাবো তবুও নতুন করে কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন গড়ে উঠেতে দিবো না। ছাত্ররাজনীতির নামে ক্যাম্পাসে যে সহিংসতা শুরু হচ্ছে সেটা আবার ফিরে না আসুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
বিজ্ঞাপন
এমএল/








