৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম, দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা

মিছিলটি সাইন্সল্যাবে গিয়ে ঘন্টাখানেক অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন
বিজ্ঞাপন
সাত কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে শনিবার (২৬ অক্টোবর) পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তারা।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ৩টায় ঢাকা কলেজের মূল ফটকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজ সংষ্কার আন্দোলনের অন্যতম প্রতিনিধি আব্দুর রহমান এ ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলন কর্মসূচি স্থগিতের পরে রাজধানীর সাইন্সল্যাব ও নীলক্ষেত মোড়ে বিভিন্ন রাস্তার যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে। এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বেলা সাড়ে ১২ টায় ঢাকা কলেজের শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি সাইন্সল্যাবে গিয়ে ঘন্টাখানেক অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এসময় নিউমার্কেট থানা পুলিশের অনুরোধে সাইন্সল্যাব মোড় ছেড়ে ঢাকা কলেজের মূল ফটকের জড়ো হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করেন।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পক্ষে আব্দুর রহমান বলেন, সাত কলেজ নিয়ে একমাত্র সমাধান স্বায়ত্ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের সাত কলেজের ক্যাম্পাসের সম্বন্বয়ে সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা দিলে সব শিক্ষার্থী পড়ার টেবিলে ফিরে যাবে।
বিজ্ঞাপন
ঢাকায় আর কোন বিশ্ববিদ্যালয় করা সম্ভব না শিক্ষা সচিবের এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা কর্তৃপক্ষকে বলছি দাবি মেনে না নিলে আমাদের পক্ষ থেকে ঢাকা শহরের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব না। ঢাকা শহরকে সুষ্ঠু রাখতে একমাত্র সমাধান স্বায়ত্ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য আমরা কর্তৃপক্ষকে শনিবার পর্যন্ত সময় দিচ্ছি।
বিজ্ঞাপন
সাত কলেজ সংষ্কার আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দেখতে পেয়েছি সিন্ডিকেটের সক্রিয় চক্র ভিন্নভাবে কাজ করার চেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীদের দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীদের দমিয়ে দেওয়া সম্ভব না। আমরা বৃহস্পতিবার সাত কলেজের প্রতিটি ক্যাম্পাস গণসংযোগ করবো। যদি কোন সিন্ডিকেট কোটি কোটি টাকা খেয়ে শিক্ষার্থীদের দমন করতে আসে তাহলে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিহত করবে। বৃহস্পতিবার গণসংযোগ শেষে শনিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরে যদি কোন সিদ্ধান্ত না আসে তাহলে আবারো ঢাকা কলেজে সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আপনারা কল্পনা করতে পারবেন না, পরবর্তী কর্মসূচি কতটা কঠোর থেকে কঠোরতর হবে। আমরা সরকারকে বলতে চাই যদি কোন অশুভ শক্তি রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করতে চাই তাহলে সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা তাদের দমন করবে। আপানারা সাত কলেজকে শান্তি দিন, তাহলে আমরা বলছি আপনাদের শান্তিতে রাখার দায়িত্ব সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের।
বিজ্ঞাপন
দলীয় সরকারের মাধ্যমে সাত কলেজ সমস্যার সমাধান হবে না উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এবার যদি সাত কলেজের সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে আর কখনও সমাধান হবে না। সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বলেন, কর্মসূচি ঘোষণা করলে আপনারা ঘরে বসে থাকবেন না। দলীয় সরকার সবসময় রক্ত চাই, রক্ত নিয়ে তারপর সমস্যার সমাধান করে। কর্মসূচি দিলে আপনারা দলে দলে যোগদান করবেন। আমরা সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্য বলতে চাই, আপনার কয়েকটাদিন সহ্য করবেন। আন্দোলন যদি একমাস করতে হয় তাহলে আমরা তাই করবো। সম্পূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান এবার করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
এমএল/