আমরা প্রতারণাকে ‘না’ বলছি: রুমিন ফারহানা

একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে এসব কথা বলেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।

তিনি উল্লেখ করেন যে, ভোটে যে সাংবিধানিক প্রশ্নটি থাকবে, সেখানে ভিন্নমতের ব্যাপারটি পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়ে সনদটি ঘোষণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: কাবিনে যেহেতু স্বাক্ষর করেছেন, সংসারও করতে হবে: হাসনাত

তিনি আরও জানান, বিএনপি শুরু থেকেই চেয়েছিল যে, জাতীয় নির্বাচনের দিনই যেন গণভোটটি করা হয়, কিন্তু সে ব্যাপারে ন্যূনতম কর্ণপাত করা হয়নি।

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট হলে বিএনপি কী করবে— এমন প্রশ্নের জবাবে রুমিন ফারহানা বলেন, যদি সরকার নির্বাচন নির্ধারিত হওয়ার আগে গণভোটের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে সময়ের সঙ্গে যেটা করার দরকার, তা বিএনপি দলীয় আলাপ-আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত নেবে।

এই নেত্রী সতর্ক করে দেন যে, ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত নির্বাচন যদি কোনো কারণে পিছিয়ে যায় বা দ্রুত নির্বাচনের পথে না যায়, তবে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের যে শক্তি থাকার কথা, সেটি আর থাকবে না।

আরও পড়ুন: ‘শাপলা কলি’ দিয়ে এনসিপিকে বাচ্চা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা: সামান্তা শারমিন

দেশের মানুষের মূল চিন্তাভাবনা প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মূল চিন্তা উচ্চকক্ষ, নিম্নকক্ষ বা গণভোট কবে হবে— এগুলো নিয়ে নয়। তাদের প্রধান কনসার্ন হলো— তারা ঠিকমতো সস্তায় জিনিস কিনতে পারছে কি না, খাবারটা সস্তায় খেতে পারছে কি না, চিকিৎসাব্যবস্থার অবস্থা কী রকম, স্বল্প বা বিনা মূল্যে তারা ওষুধ পাচ্ছে কি না, হাসপাতালগুলোতে তারা সেবা পাচ্ছে কি না, তাদের ছেলেরা পড়াশোনা শেষ করে চাকরি পাচ্ছে কি না, এবং দেশের বাইরে গিয়ে কিছু রোজগার করে পরিবারকে সাপোর্ট করতে পারছে কি না।

যেহেতু গণভোটের বিষয়টি তাদের প্রতিদিনকার জীবনের সঙ্গে সংযুক্ত নয়, তাই এমন একটি বিষয়ে গণভোট হলে ‘না’ ভোট জয়যুক্ত হওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে তিনি মনে করেন।