গাজার উদ্দেশ্যে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নিয়ে যা বললেন আজহারি

মানবিক সহায়তা বহন করে গাজার দিকে অগ্রসরমান আন্তর্জাতিক নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারি।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেন- “প্রভু হে! একটি জলযান হলেও, তুমি সৈকতে ভিড়তে দাও। অভুক্ত ভাই-বোনেরা অধীর আগ্রহে তাদের অপেক্ষা করছে।”
এদিকে, ইসরায়েলি নৌ-অবরোধ অমান্য করে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা বহরের একটি জাহাজ ইতোমধ্যে গাজার আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশ করেছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই ফ্লোটিলায় বাংলাদেশ থেকেও যোগ দিয়েছেন আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম।
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে তিনি ‘কনসায়েন্স’ নামের একটি বড় জাহাজে আছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার জাহাজ আটক হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ‘মিকেনো’ নামক জাহাজ বর্তমানে গাজার উপকূলে অবস্থান করছে। তবে সেটি ইসরায়েলি বাহিনী আটক করেছে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
বিজ্ঞাপন
এরই মধ্যে ফ্লোটিলার ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান তীব্র আকার ধারণ করেছে।
সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, ইসরায়েলি কমান্ডোরা মাঝ সমুদ্রে অন্তত ১৩টি নৌযান থামিয়ে দিয়েছে এবং সেখান থেকে ৩৭টি দেশের ২০১ জনেরও বেশি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবুকেশেক জানান, আটক অভিযান চললেও বহরের ২৪টি জাহাজ এখনো সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ইতোমধ্যেই গাজার উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েলের বাধা সত্ত্বেও মিশন চলমান, আমরা গাজার অবরোধ ভাঙতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।”
এ ছাড়া আল-জাজিরার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি যুদ্ধজাহাজ থেকে ফ্লোটিলার জাহাজগুলোর ওপর জলকামান নিক্ষেপ, যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল এবং আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকেই কর্মীদের আটক করার ঘটনা ঘটেছে। তবুও প্রায় ৩০টি জাহাজ গাজার তীরে পৌঁছানোর জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।