Logo

ভূয়া এনজিওর ফাঁদে সর্বশান্ত পাঁচ শতাধিক গ্রাহক

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
২৫ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৫:৫৯
68Shares
ভূয়া এনজিওর ফাঁদে সর্বশান্ত পাঁচ শতাধিক গ্রাহক
ছবি: সংগৃহীত

সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র সরকার অনুমোদিত লিখে সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (এসইউএস) নামের একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে ও একটি অফিস নেয়।

বিজ্ঞাপন

বাগেরহাটের রামপালে কথিত এনজিও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (এসইউএস) নামের একটি হায় হায় এনজিও'র ফাঁদে পড়ে প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের সদস্য বিপুল পরিমাণ টাকা জমা দিয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন।

এ ঘটনায় রামপাল থানায় মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারী) পৃথকভাবে দুইটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগে ও ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র সরকার অনুমোদিত লিখে সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (এসইউএস) নামের একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে ও একটি অফিস নেয়। এরপর ওই চক্রের সদস্যরা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে সদস্য সংগ্রহ শুরু করে। তারা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নারী ও পুরুষদের লোভনীয় অফার দেয়। সদস্যের অবস্থা বুঝে কাউকে গাভী পালনের জন্য লোন, কাউকে দোকান, কাউকে মৎস্য ঘেরের জন্য লোন দেয়ার কথা বলে। সুযোগ বুঝে ওই চক্রের সদস্যরা দুই হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়। 

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) উপজেলার শ্রীফলতলা নতুন রাস্তার মোড়ে রাজ্জাক হাওলাদারের ভাড়া দেওয়া অফিসে গ্রাহকেরা ঋন নিতে এসে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন।

 

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, চটকদার প্রলোভনে ফেলে মোহাচ্ছন্ন করে কোন রশিদ ছাড়া ওই প্রতারক চক্র সফলভাবে এই বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এভাবে উপজেলার পেড়িখালী গ্রামের বাদশা ইজারাদারের স্ত্রী লাইলী বেগমের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা, কাদিরখোলা গ্রামের আতাউর রহমানের স্ত্রী ফিরোজা বেগমের কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা, পেড়িখালী গ্রামের নাজমুল শেখের স্ত্রী ইরানী বেগমের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা, ফরিদ শেখের স্ত্রী চম্পা বেগমের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা, সিকিরডাঙ্গা গ্রামের বুলিনা বেগমের কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা, কাষ্ঠবাড়িয়া গ্রামের মজিদ গাজীর স্ত্রী ময়না বেগমের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা, কাদিরখোলা গ্রামের আলাল শেখের স্ত্রী আবেরা বেগমের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা, চিত্রা গ্রামের শহিদ শেখের ছেলে তাহিদ শেখের কাছ থেকে ৩৮ হাজার টাকা, সিকিরডাঙ্গা গ্রামের নয়ন দাসের ছেলে অমিত দাসের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা, বড়কাটালী গ্রামের মেহেদী হাসানের স্ত্রী সুমি বেগমের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা, চিত্রা গ্রামের কামরুল খানের স্ত্রী জেসমিনের কাছ থেকে ৩৪ হাজার টাকাসহ পাঁচ শতাধিক গ্রাহকের প্রায় অর্থ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশ জানান, মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারী) বিকালে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। একটা ফোন নম্বর ও পাওয়া গেছে। দ্রুত তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।  

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এজাতীয় কোন এনজিওর সদস্যরা কারো কাছে লোভনীয় অফার দিলে সাথে সাথে রামপাল থানা অথবা ৯৯৯ এ কল করে সহযোগিতা নিলে প্রতারণা থেকে মুক্ত থাকা যাবে, পাশাপাশি সকলের সচেতন হতে হবে বলে মত দেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD