ফেরত নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত ও অব্যবহৃত ব্যালট: জাকসু ইসি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে আবাসিক হলগুলোতে পাঠানো অতিরিক্ত, অব্যবহৃত ও নষ্ট ব্যালট পেপার ফেরত নিয়ে কমিশনের কাছে সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন নির্বাচন কমিশনের সচিব অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম।
তিনি জানান, প্রতিটি হলে ভোটার সংখ্যার তুলনায় কিছু অতিরিক্ত ব্যালট পাঠানো হয়েছিল। কারণ ব্যালট কপি সরাসরি ভোটার সংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য করে নয়, বরং বান্ডিল আকারে ছাপাতে হয়। যেমন কোনো হলে যদি ভোটার সংখ্যা হয় ৩৮০ জন, সেখানে ৩৮০ নয় বরং ৪০০ কপি ছাপানো হয়। এছাড়া ব্যালট নষ্ট হলে প্রতিস্থাপনের জন্যও বাড়তি কপি দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, ফেরত আসা প্রতিটি ব্যালটের তালিকা কমিশনের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে এবং সেগুলো ট্রাংকে তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখা হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিটি হলে রিটার্নিং অফিসাররা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের উপস্থিতিতে ব্যালট সিলমোহর করে কমিশনে জমা দেন।
আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের রিটার্নিং কর্মকর্তা সহযোগী অধ্যাপক মৃধা মো. শিবলী নোমান জানান, নির্বাচনের দিন ভোট শেষে অব্যবহৃত ও অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ট্রাংকে তালাবদ্ধ করে কমিশনে হস্তান্তর করা হয়। ভোটগ্রহণ শেষে ব্যালট বাক্স সিল করা থেকে শুরু করে সরঞ্জামাদি নির্দিষ্ট গাড়িতে তোলা পর্যন্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, পোলিং এজেন্ট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ছাত্র প্রতিনিধি ও এজেন্টদের পাহারার মধ্য দিয়েই সবকিছু কমিশনে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডাকসুর জিএস হতে পারেন রাশেদ খান
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জাকসু নির্বাচনে শেষ সময়ে বিএনপিপন্থি তিন শিক্ষক অনিয়মের অভিযোগ তুলে মনিটরিং সেলের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তাদের একজন দাবি করেছিলেন, অতিরিক্ত ব্যালট ছাপানো হয়েছে।