চবিতে ওশান স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশনের অগ্রগতি পরিদর্শন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) স্থাপিত ওশান স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন প্রকল্পের চলমান কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো: কামাল উদ্দিন এবং চীনের সেকেন্ড ইনস্টিটিউট অব ওশানোগ্রাফি (SIO)-এর প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর মাও জিহুয়া। সোমবার (২২ ডিসেম্বর ২০২৫) সকালে তারা প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখেন।
বিজ্ঞাপন
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের বাংলাদেশ সমন্বয়ক ও চবি ওশানোগ্রাফি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন মুন্না, বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. এনামুল হক, সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং চীনের সেকেন্ড ইনস্টিটিউট অব ওশানোগ্রাফির প্রতিনিধি দল।
এদিন দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরে প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ও পরিচালনা কাঠামো চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্যাটেলাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ, ডাটা আদান-প্রদান, কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণ এবং গ্রাউন্ড স্টেশন পরিচালনায় দুই দেশের দায়িত্ব ও সমন্বয় পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিজ্ঞাপন
বৈঠকে চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো: কামাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় প্রকল্পের বর্তমান অগ্রগতি তুলে ধরেন প্রকল্পের বাংলাদেশ সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন মুন্না।
এসময় যৌথ গবেষণা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ, প্রশাসনিক ব্যয়, সাইবার নিরাপত্তা এবং গ্রাউন্ড স্টেশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সময়সূচি নিয়েও মতবিনিময় হয়। দুই দেশের মধ্যে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা জোরদারে একটি কার্যকর প্রোটোকল প্রণয়নের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
প্রকল্পের সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন মুন্না বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশানোগ্রাফি বিভাগ ও চীনের সেকেন্ড ইনস্টিটিউট অব ওশানোগ্রাফির যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্প বাংলাদেশকে সমুদ্র গবেষণা ও রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তিতে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, প্রকল্পটি চালু হলে সমুদ্রের গতিবিদ্যা, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সাইক্লোন ও সুনামি পূর্বাভাস, স্টর্ম সার্জ মডেলিং, মৎস্য খাত, ব্লু ইকোনমি এবং নীতিনির্ধারণে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি আধুনিক সমুদ্র গবেষণায় বাংলাদেশ আঞ্চলিক পর্যায়ে একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে।








