Logo

দানবীয় শাসনের ফলেই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান অনিবার্য হয়ে পড়েছিল

profile picture
নিজস্ব প্রতিবেদক
১২ অক্টোবর, ২০২৫, ১৭:০২
9Shares
দানবীয় শাসনের ফলেই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান অনিবার্য হয়ে পড়েছিল
ছবি: সংগৃহীত

ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের কারণেই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান অনিবার্য হয়ে পড়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন ক্রমে এক দানবীয় রূপ ধারণ করেছিল, যা শেষ পর্যন্ত জনগণের প্রতিরোধে রূপ নেয়।

রবিবার (১২ অক্টোবর) শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ অনুষ্ঠিত শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার প্রথমে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে দেয়, পরে গুম-খুন ও দমননীতির সংস্কৃতি চালু করে। এরপর নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস, তত্ত্বাবধান ব্যবস্থা বাতিল এবং সর্বগ্রাসী দুর্নীতি এসবের মাধ্যমে তারা দানবীয় এক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল।”

তিনি আরও বলেন, “জনগণের ওপর ভয়ভীতি, নির্যাতন ও হত্যা চালিয়ে একটি আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করাই ছিল ওই শাসনের লক্ষ্য। শেষ পর্যন্ত সেই দানবীয় শাসনের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মই রুখে দাঁড়ায়, যা ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়।”

মামলার যুক্তিতর্কের আগে গত বুধবার শেষ সাক্ষী (৫৪তম) তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরা শেষ হয়। এই মামলায় শহীদ আবু সাঈদের পিতা, স্বজনহারারা, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমানসহ ৫৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস.এইচ. তামিম শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন শুনানি পরিচালনা করেন। অন্যদিকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।

এই মামলায় গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। মামলায় সাবেক আইজিপি দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হন এবং ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ আদালতে তুলে ধরেন।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, এই মামলার পাশাপাশি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। একটি ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায়, আরেকটি মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার ও তার অনুগত বাহিনী ব্যাপক দমন-পীড়ন চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছে।

জেবি/এএস
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD