Logo

নাশকতা মামলায় মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৬৭ নেতাকর্মীকে অব্যাহতি

profile picture
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৩৬
9Shares
নাশকতা মামলায় মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৬৭ নেতাকর্মীকে অব্যাহতি
ছবি: জনবাণী।

পুলিশের সরকারি কাজে বাধা ও গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদসহ ১৬৭ নেতাকর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত এ আদেশ দেন।

অব্যাহতি পাওয়া উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কফিল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, মিডিয়া উইংয়ের শামসুদ্দিন দিদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমুনুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায়, যুবদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মনজু, ঢাকা দক্ষিণের ছাত্রদলের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিনসহ প্রমুখ।

মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: রাবি ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যা মামলায় সবাই খালাস

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর বিএনপি নেত্রী আফরোজা আব্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল ফকিরাপুলের দিক হতে ব্যান্ডপার্টি, ব্যানার ফেষ্টুন নিয়ে শো-ডাউন করে নয়া পল্টনস্থ বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসে। অতঃপর নবী উল্লাহ নবী ও কফিল উদ্দিন এর নেতৃত্বে অপর দুইটি মিছিল শো-ডাউন করে ব্যানার ফেষ্টুন নিয়ে একই দিক হতে আসতে থাকে এবং সর্বশেষ মির্জা আব্বাস এর নেতৃত্বে ৮-১০ হাজার জনের একটি মিছিল নিয়ে - ব্যান্ডপার্টিসহ ব্যানার ফেষ্টুন নিয়ে শো-ডাউন করে নয়া পল্টনস্থ বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসে।

তারা নয়াপল্টনস্থ ভিআইপি রোড বন্ধ করে মিছিল ও শো-ডাউন করে যানবাহণ চলাচল বন্ধ করে দিয়ে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি করে। পুলিশ তাদেরকে রাস্তার এক লেন ছেড়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা ও জন দূর্ভোগ সৃষ্টি না করার জন্য অনুরোধ করলে তারা পুলিশের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়। তাদের নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনের বিষয়টি বিএনপি অফিসে অবস্থানরত রুহুল কবির রিজভীসহ অন্যান্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে জানানো হয় এবং পুলিশকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

তাদের অফিসের মাইকের মাধ্যমে যানবাহন চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার বিষয়ে ঘোষনা করার জন্য অনুরোধ করা হয়। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে আসামিরা অবৈধ জনতাবদ্ধে বিএনপির পার্টি অফিস থেকে লাঠিসোটা নিয়ে নয়পল্টনস্থ ভিআইপি রোডে হকস বে নামীয় গাড়ীর শো রুমের উত্তর পাশে রাস্তায় পুলিশের একটি সরকারী ডাবল কেবিন পিকাপ পুড়িয়ে আনুমানিক মূল্য ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধণ করে।

পুলিশের উপর আক্রমন করে পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত ভাবে সরকারী কাজে বাধা দিয়ে অতর্কিতে পুলিশকে আক্রমন করে পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা রাস্তায় বিভিন্ন ধরণের সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। ঐ সময় আসামীরা সেখানে কর্তব্যরত পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত ভাবে সরকারী কাজে বাধা দিয়ে পুলিশকে আক্রমন করে পুলিশের উপর বারবার ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

আরও পড়ুন: দানবীয় শাসনের ফলেই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান অনিবার্য হয়ে পড়েছিল

বিজ্ঞাপন

আসামীরা রাস্তার পাশে ডিউটিরত এসির (পেট্রোল-মতিঝিল) সরকারী মিটসুবিসি প্রাইভেট কারে আগুন ধরিয়ে দিলে মুহুর্তের মধ্যে গাড়ীর চারিদিকে আগুন ধরে যায়। দাউদাউ করে আগুন ছড়িয়ে গাড়ীটি পুড়ে ভস্ম হয়। আগুনে পোড়া গাড়ীর আনুমানিক মূল্য ৩৫ লাখ টাকা। আসামিদের নিক্ষেপিত ইটের আঘাতে কয়েকজন পুলিশ মারাত্বক আঘাত প্রাপ্ত হন। মারাত্বক আহত পুলিশ সদস্যগনকে চিকিৎসার জন্য রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আসামিরা ঘটনাটি ঘটিয়ে সরকার বিরোধী বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়ে নাইট এ্যাগেল মোড় হতে পুলিশ হাসপাতাল ক্রসিং পর্যন্ত ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তারা রাস্তায় চলাচলরত সাধারণ জনগনের উপর আক্রমন করে প্রাইভেট কারসহ রাস্তায় আটকে পড়া আরো অনেক গাড়ী ভাংচুর করতে থাকে। পুলিশের যানবাহণে অগ্নি সংযোগ করে পুলিশের কর্মক্ষমতা ব্যাহত করার জন্য অন্তর্ঘাত মূলক কার্য সম্পাদন করে। এ ঘটনায় পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মো: আল আমিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

জেবি/এসডি
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD