‘শেখ হাসিনা আন্দোলন দমনে মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেননি’

ছাত্র ও সাধারণ মানুষের আন্দোলন দমনে মারণাস্ত্র ব্যবহারের দায় শেখ হাসিনার নয় বলে দাবি করেছেন আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, এই ঘটনাগুলোর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মাঠপর্যায়ের ব্যক্তিরাই দায়ী, শেখ হাসিনা কোনোভাবেই প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেননি।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দ্বিতীয় দিনে তিনি এ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: সেই পর্ন তারকা জুটি ৫ দিনের রিমান্ডে
বিজ্ঞাপন
আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, “রাষ্ট্রের সম্পদ ও জনগণের জানমাল রক্ষায় ড্রোন ও হেলিকপ্টার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে লেথাল উইপন ব্যবহারের নির্দেশের কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। কল রেকর্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন আছে।”
তিনি আরও জানান, সারাদেশে তিন লাখ পাঁচ হাজার রাউন্ড গুলি ছোড়ার যে তথ্য এসেছে, তা যাচাইযোগ্য নয় এবং এই সংখ্যা অতিরঞ্জিত হতে পারে।
অন্যদিকে, প্রসিকিউশন পক্ষ দাবি করেছে, শেখ হাসিনাসহ তিনজন আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে তারা ৫৪ জন সাক্ষীর জবানবন্দি, বহু ভিডিও প্রমাণ ও অডিও রেকর্ডিং উপস্থাপন করেছে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, এসব প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
গুমের মামলার অভিযুক্তদের বিষয়ে প্রসিকিউশন জানিয়েছে, বুধবার (২২ অক্টোবর) আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ রয়েছে। যদি তারা আদালতে উপস্থিত না হন, তবে আইন অনুযায়ী বিচারকাজ চলবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম. এইচ. তামিম বলেন, “আসামিরা হাজির না হলে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তাদের উপস্থিত হতে বলা হবে। এরপরও না এলে তাদের পলাতক ঘোষণা করা হবে এবং রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হবে।”
বিজ্ঞাপন
এদিন ট্রাইব্যুনাল-২ এ আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানোর মামলা ও শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের কার্যক্রমও সম্পন্ন হয়।