সালমান শাহ হত্যা মামলা: সামিরার মায়ের দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা

ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় এবার নতুন নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলার তৃতীয় আসামি ও সালমান শাহর সাবেক স্ত্রী সামিরা হকের মা লতিফা হক লিও ওরফে লুসির (৭১) দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।
বিজ্ঞাপন
রাজধানীর রমনা থানার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পর গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান এ নির্দেশ দেন। পরে বিষয়টি জানিয়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে রমনা থানা পুলিশ।
এর আগে একই মামলায় গত ২৭ অক্টোবর সামিরা হক ও অভিনেতা আশরাফুল হক ডনের দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন একই ম্যাজিস্ট্রেট। ফলে এখন পর্যন্ত তিনজনের বিদেশযাত্রা স্থগিত হয়েছে আদালতের আদেশে।
বিজ্ঞাপন
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটনে নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দীর্ঘ প্রায় তিন দশক তদন্ত চলার পর ঘটনাটি অপমৃত্যু নয়, হত্যা বলে রায় দেন আদালত।
এরপর গত ২০ অক্টোবর ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনার পরদিন ২১ অক্টোবর রমনা থানায় মামলাটি করেন সালমান শাহর মামা মোহাম্মদ আলমগীর।
মামলায় মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে- এদের মধ্যে আছেন সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হক, তার মা লতিফা হক লিও, ব্যবসায়ী ও সাবেক প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, অভিনেতা আশরাফুল হক ডনসহ আরও কয়েকজন। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় হত্যা ও যোগসাজশের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এজাহারে বলা হয়, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকালে সালমান শাহর বাসায় গিয়ে তার মা ও আত্মীয়রা তাকে মৃত অবস্থায় পান। তার গলায় দড়ির দাগ এবং শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সালমান শাহর জন্ম ১৯৭০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটে। ছোটপর্দা থেকে চলচ্চিত্রে আসা এই তারকা মাত্র কয়েক বছরে হয়ে ওঠেন বাংলা সিনেমার সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেতা। তার অভিনীত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘অনন্ত ভালোবাসা’, ‘বিক্ষোভ’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘বুকের ভেতর আগুন’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র এখনো দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে।








