হানিট্রাপ নিয়ে মুখ খুললেন সেই আইনজীবী জুয়েল

সম্প্রতি ‘আইনজীবীর নেতৃত্বে হানিট্র্যাপ চক্র, প্রেমের ফাঁদে জিম্মি করে টাকা আদায়’ শিরোনামে একটি সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশন প্রকাশ করে। সেই বিষয়ে মুখ খুলে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইসলামী আইনজীবী পরিষদের নেতা ও ইসলামী আন্দোলনের বগুড়া-২ আসনের সাবেক এমপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট জামাল উদ্দিন জুয়েল। করেছেন মামলাও।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১২ নভেম্বর) নিম্ন আদালতে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ) তে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলেন অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
আরও পড়ুন: গ্রেফতার হতে পারেন হিরো আলম
এদিকে মানহানির অভিযোগ এনে সময় টেলিভিশনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি। মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমানের আদালতে তিনি বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন৷ আদালত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে সিআইডিকে পুলিশকে আগামী বছরের ১২ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। মামলায় বাদীর ৫০০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- বাদীর বিরুদ্ধে করা সংবাদের রিপোর্টার সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার এম. এ আজিম (৩৫), সময় টেলিভিশনের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান রিপোর্টার, হেড অব নিউজ, সি.ই.ও। এছাড়া সৌরভ হোসেন (২৫), ইসমাইল হোসেন (৩২) ও শফিকুল ইসলাম শাকিল (৪০) নামে তিন ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জামাল উদ্দিন জুয়েল বলেন, ‘লিজা আক্তার প্রিয়া নামে একজন মক্কেল আমার কাছে আসেন স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে মামলা করতে। আদালত আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। সৌরভ আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপোসের শর্তে জামিন নেন। তবে জামিন নিয়ে আপোস না করে আমাকে বিভিন্ন সময় সৌরভ হুমকি-ধামকি দেন। আমাকে হ্যারেজমেন্ট করতে লেখালেখি শুরু করে। পেশাগত সম্মান বজায় রাখতে আমি মামলা ছেড়ে দেয়। এরপরও আমাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। কোতয়ালী থানায় জিডি করি।’
তিনি বলেন,‘পরিতাপের বিষয়, হানিট্রাপ চক্র বিষয়ে আমার নাম জড়িয়ে সংবাদ প্রচার করে। রিপোর্টে লিজা ও আমাকে জড়িয়ে ছেলেদের ধরে ধরে ধর্ষণ মামলার ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আদায় করছি। সময় টিভির রিপোর্টার এম.এ. আজীম রিপোর্টটা করেন।
বিজ্ঞাপন
আমার চেম্বারে তিনি আসেন সাক্ষাৎকার নিতে। কিন্তু আমি যেভাবে সাক্ষাৎকার ছিলাম, সে এগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে প্রকাশ না করে মিথ্যা তথ্যের উপর প্রতিবেদন প্রকাশ করলো। শুধু তাই নয়, আমাকে জড়িয়ে চক্রে রূপান্তর করলেন।। রিপোর্টে উল্লেখ করেন, দক্ষিণখান থানা এলাকায় আমার একটি চেম্বার রয়েছে। সেখানে নাকি আমি সৌরভকে আটকে রেখে ধর্ষণের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের লক্ষ্যে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করি। তখন আমি অসুস্থ ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে সময় টিভি মিথ্যা, বানোয়াট, অসত্য তথ্য প্রচার করেছে।’
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৫ নভেম্বর সময় টেলিভিশন এ মামলার অ্যাডভোকেট জামাল উদ্দিন জুয়েলের বিরুদ্ধে ‘আইনজীবীর নেতৃত্বে হানিট্র্যাপ চক্র, প্রেমের ফাঁদে জিম্মি করে টাকা আদায়’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, জামাল উদ্দিন জুয়েল নারী দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পরবর্তীতে ধর্ষণ মামলার হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করেন।
বিজ্ঞাপন
এ সংবাদ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও মিথ্যা। জামাল উদ্দিন জুয়েল একজন ভুক্তভোগী নারীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন। তবে তিনি তাকে বা কোনো নারীকে ব্যবহার করে মানুষকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় করেননি। এ প্রতিবেদনে ভুক্তভোগী বাদী জামাল উদ্দিন জুয়েলের বিরুদ্ধে কোনো সুস্পষ্ট দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি আসামিরা। এমন মানহানিকর সংবাদ প্রচার করায় বাদীর পাঁচ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে।








