প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: শেখ হাসিনাসহ ১২ আসামির রায় ২৭ নভেম্বর

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ১২ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার দিন আগামী ২৭ নভেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত।
বিজ্ঞাপন
রবিবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-৫ এর আদালতে বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলার একটি আসামির যুক্তিতর্ক শোনার পর রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন।
অন্য ১১ আসামি পলাতক থাকায় তাদের পক্ষ থেকে কোনো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়নি। এ কারণে তারা আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবিও উপস্থাপন করতে পারেননি।
বিজ্ঞাপন
মামলার সূত্রে জানা যায়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে গত ১৪ জানুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আট জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করা হয়।
শেখ হাসিনা ছাড়াও মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন— জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, রাজউক-এর সাবেক চেয়ারম্যান পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউক-এর সাবেক সদস্য শফি উল হক, খুরশীদ আলম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব শহিদ উল্লাহ খন্দকার এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে অনৈতিকভাবে ১০ কাঠা করে সরকারি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অপর তিন মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম।
প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির মামলাগুলোতে শেখ হাসিনা ছাড়াও তার পরিবারের বিভিন্ন সদস্য—সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক—ও বিভিন্ন মামলায় আসামি ছিলেন। এসব মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর আদালতে শুনানি চলছে।








