মন্ত্রী-বিচারপতিরা এলে, সেনা কর্মকর্তারা কেন পারবেন না: ট্রাইব্যুনাল

গুমের ঘটনায় দায়ের হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় সেনা কর্মকর্তাদের ভার্চুয়ালি হাজিরার আবেদনকে খারিজ করে ট্রাইব্যুনাল-১ কঠোর মন্তব্য করেছেন, মন্ত্রী ও সাবেক বিচারপতিরা সশরীরে হাজির হচ্ছেন। তারা পারছেন, ওনারা (সেনা কর্মকর্তা) কেন পারবেন না? তারা কি এসবের বাইরে। ল’ ইজ ইকুয়্যাল ফর অল। অর্থাৎ আইন সবার জন্য সমান।
বিজ্ঞাপন
রবিবার (২৩ নভেম্বর) র্যাবের টিএফআই ও জেআইসি সেলে এই মন্তব্য করেন ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল। অন্য সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাগুলিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
তাঁরা হলেন— র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, কেএম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন ছুটিতে), র্যাব গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।
দুই মামলায় অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হামিদুল মিজবাহ ভার্চুয়ালি হাজিরার আবেদন করেন। তবে ট্রাইব্যুনাল মন্তব্য করেন, আপনারা যদি উপস্থিত না হতে পারেন, আমরা ব্যবস্থা নেব। পরবর্তী তারিখে শুনানি করতেও আমরা প্রস্তুত।
বিজ্ঞাপন
আদালতের মতে, সশরীরে হাজিরা সকলের জন্য বাধ্যতামূলক। আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বা সাবেক মন্ত্রীরা যদি হাজির হতে পারেন, তাহলে সেনা কর্মকর্তারাও অবশ্যই তা করতে পারবেন।
শুনানি চলাকালে পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে।
আইনজীবী মাসুদ সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন, ভার্চুয়াল হাজিরার জন্য আবেদন করা হলেও সময় চাওয়ার বিষয়টি প্রসিকিউশনের সম্মতিতে করা হয়েছে। আগামী ৩ ও ৭ ডিসেম্বর পুনঃশুনানি অনুষ্ঠিত হবে।








