প্লট দুর্নীতি: রেহানার ৭, হাসিনার ৫ ও টিউলিপের ২ বছরের কারাদণ্ড

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ক্ষমতার অপব্যবহার, জালিয়াতি ও অনিয়মের মাধ্যমে প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় শেখ রেহানা, শেখ হাসিনা ও টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকসহ ১৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টায় বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে শেখ রেহানাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিককে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
দণ্ডিতদের মধ্যে কেবল রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। বাকি ১৬ জন পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন।
বিজ্ঞাপন
এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন— গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, সাবেক পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন দুদকের প্রসিকিউটর তরিকুল ইসলাম। খুরশীদ আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীনুর রহমান।
বিজ্ঞাপন
চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন শেখ রেহানা এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ১৭ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
গত ৩১ জুলাই আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচারকাজে মোট ৩২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
বিজ্ঞাপন
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বণ্টনকে কেন্দ্র করে শুরু থেকেই এই মামলাটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। আদালতের রায়ে দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপের অবসান হলো।








