এমপি নির্বাচনের পর এবার ইউপিতে প্রার্থী আব্দুল হাই


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


এমপি নির্বাচনের পর এবার ইউপিতে প্রার্থী আব্দুল হাই

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও এমপি পদে নির্বাচনের পর এবার ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন আব্দুল হাই মাস্টার।

তবে এ কারণে বেশ আলোচনা-সমালোচনার পাত্র হয়ে উঠেছেন তিনি। একশ্রেণির মানুষ তাকে নিয়ে হাস্যরস করে। কিন্তু মানুষের সব মন্তব্য আর সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে নিজেকে জনগণের সেবক বানাতে চান চর ভূরুঙ্গামারী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল হাই।

আগামী ৩১ জানুয়ারি ষষ্ঠ ধাপে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়ন, পাথরডুবি ও শিলখুড়ি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নে ‘মোটরসাইকেল’ প্রতীক নিয়ে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আব্দুল হাই মাস্টার।

আব্দুল হাই বিগত সময়ে উপজেলার সোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তারপর ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাকের পার্টির ব্যানারে ভূরুঙ্গামারী-নাগেশ্বরী-১ আসনে নির্বাচন করে পরাজিত হন। সেই থেকে প্রতিটি নির্বাচনে হারলেও পরে যত নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে পিছপা হননি তিনি।
সে মোতাবেক এবারও তিনি আসন্ন চেয়ারম্যান পদে ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে ইউনিয়নের অন্য প্রার্থীদের প্রচারণা, মিটিং-মিছিল ও কর্মীদের নিয়ে জমকালো শোডাউনের আয়োজন থাকলেও আব্দুল হাই মাস্টারের নির্বাচনী প্রচার একটু ভিন্ন।

একটি হ্যান্ডমাইক হাতে নিয়ে একাই নিজের প্রচারে বেরিয়ে পড়ছেন ভোটারের কাছে। কখনো পায়ে হেঁটে, কখনো সাইকেলে, কখনো অটোরিকশায় করে পথঘাট, হাটবাজার ও বন্দরে। মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট চাচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও।

স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, নির্বাচনে দাঁড়ানো তার একটা নেশা। এমন কোনো নির্বাচন বাকি রাখেন নাই যে ওই নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। ইউপি নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন এমনকি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আব্দুল হাই মাস্টার।

তিনি আরও বলেন, আব্দুল হাই মাস্টার যখন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তখন নিজ হাতে হাটবাজারের ড্রেন বাথরুমের ময়লা পরিষ্কার করতেন বলে সবাই তাকে নিয়ে কটূক্তি করত। সেই থেকে ‘একশ্রেণির’ হাস্যরস করা মানুষের কাছে তিনি হাসির পাত্র হন।

আব্দুল হাই মাস্টার জনবাণীকে বলেন, মানুষের সেবা করতে আমার ভালো লাগে। আজীবন সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা করতে চাই। এ কারণে বিভিন্ন ইলেকশনে আমি থেমে থাকি না। কেননা, আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে মানবসেবা করা। আমার কোনো টাকা পয়সা নেই। জনগণই আমার সব। জনগণ যদি চায়, তারা যদি আমাকে ভালোবেসে থাকে, তাহলে আমাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান বানাবে নিশ্চয়ই। আমি বরাবরই জনগণের সেবা করতে প্রস্তুত।

এসএ/