লাখাইয়ে যত্র তত্র খোলা ল্যাট্রিনের ব্যবহার, হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


লাখাইয়ে যত্র তত্র খোলা ল্যাট্রিনের ব্যবহার, হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য

লাখাই প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের   লাখাই উপজেলার ১ নং লাখাই  ইউনিয়নের   যত্র তত্র  খোলা ল্যাট্রিনের ব্যবহার করছে দির্ঘদিন ধরে আধুনিক যুগে সব কিছু পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন নেই উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত  এ ইউনিয়নের কিছু পাড়া মহল্লা।

গাংপাড়হাটি, সাঙ্গরহাটি, বাঙ্গালপাড়াহাটি, গোয়ালহাটি, শিবপুর,সুজনপুর, কামালপুরসহ নদীবিধৌত এলাকার অনেক পাড়ায় ঘুরে দেখা যায় যেখানে-সেখানে অবাধে ব্যবহৃত হচ্ছে খোলা ল্যাট্রিন।

পুকুর বা উন্মুক্ত জলাশয়ে তৈরি হচ্ছে  খোলা ল্যাট্রিন। সেখানকার পানি গোসল করা, রান্নাবান্নাসহ দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করছে অসচেতন জনগোষ্ঠী। আর এসব জলাশয়ের পানি ব্যবহার করে ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েডের মতো পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। 

বাঙ্গালপাড়াহাটির বাসিন্দা সিরাজ মিয়া জানান, টাকার অভাবে স্যানিটারী ল্যাট্রিন বসাতে পারছেন না তারা। 

অসুখ বিসুখের কথা এবং পরিবেশ দূষিত হওয়ার কথা বললে তিনি জানান, সামর্থ্য থাকলে উনারাও নিজ উদ্যোগে ল্যাট্রিন বসাতেন, এখন মানুষের কটু কথা তাদের এক কান দিয়ে ঢুকে অন্য কান দিয়ে বের হয়ে যায়।  একরকম লাজ-লজ্জার মাথা খেয়েই তারা বাধ্য হয়ে খোলা ল্যাট্রিন  ব্যবহার করছেন। 

ঋষিপাড়ার লিটন রবিদাস জানান, আমরা সরকারিভাবে কোনো ল্যাট্রিন পাইনি। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী ল্যাট্রিন ব্যবহার করছি, খোলা আর স্বাস্থ্যসম্মত দিয়ে কি করব।     

এ ব্যাপারে ১নং লাখাই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোস্তাক আহমেদ তালুকদার বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হিসেবে যোগদানের পর স্যানিটারী বিষয়ক একটি সভা  অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি। একসময় ইউএন অফিসের উদ্যোগে এসব কার্যক্রম ছিল তবে বছর দুয়েক ধরে এগুলো বন্ধ।  তবে স্যানিটারী ল্যাট্রিনের  বরাদ্দ আসলে ইউনিয়নের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী পাবে। লাখাই  বাজারে আসা যাওয়ার পথে খোলা ল্যাট্রিনগুলোর দূর্গন্ধ নাকে লাগে এবং এলাকায় বাইরের আত্মীয় স্বজন বেড়াতে আসলে লজ্জ্বায় পড়তে হয়। সরকারিভাবে এসব প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থসম্মত ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করে দিলে তারা উপকৃত হতো এবং চারপাশের পরিবেশ ও দূষণমুক্ত থাকতো।

এসএ/