চুয়াডাঙ্গায় স্বামীর এলাপাতাড়ি কোপে হাসপাতালে গৃহবধূ
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা্র বহালগাছি গ্রামে নিজ স্ত্রী পান্না বেগমকে (৫০) কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত পান্না বেগম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের বহালগাছি গ্রামের আহাম্মদ ওরফে ঝড়ুর প্রথম স্ত্রী।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, পান্না বেগমের স্বামী আহাম্মদ বিয়ে করে পান্না বেগমের মালিকানাধীন বাড়িতেই দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস শুরু করে। গত ৯ মাস আগে পান্না বেগম তার নিজ বাড়ি চুয়াডাঙ্গায় আসেন। মঙ্গলবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে আহাম্মদকে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে চলে যেতে বলেন পান্না বেগম। এ নিয়ে আবারো তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে আহাম্মদ ওরফে ঝড়ু ধারালো অস্ত্র দিয়ে পান্না বেগমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিবারের সদস্যরা রক্তাক্ত অবস্থায় পান্না বেগমকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য টিটন শেখ বলেন, দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে থাকাকে কেন্দ্র করে পান্না বেগমের সাথে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল তার স্বামীর। মঙ্গলবার সকালে এ নিয়ে পান্না বেগমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় তারই সাবেক স্বামী আহাম্মদ ঝড়ু ওরফে লস্কর। তিনি আরও বলেন, পান্না বেগম তার স্বামী আহাম্মদকে ডিভোর্স দিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে ডিভোর্সের বৈধ কোন কাগজ দেখিনি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসেন বলেন, পান্না বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের কোপের জখম রয়েছে। ক্ষতস্থানগুলোতে ৭০-৮০ টা সেলাই দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রেখেছি।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন জনবাণীকে বলেন, এক নারীকে কুপিয়ে জখমের বিষয়টি জেনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এসএ/
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
