২০ বছরেও হয়নি কোন কাজ, জনদুর্ভোগ চরমে


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


২০ বছরেও হয়নি কোন কাজ, জনদুর্ভোগ চরমে

চট্টগ্রাম হাটহাজারী মির্জাপুর ইউনিয়নের হাজী সফর আলী সড়কের বেহাল দশায় অতিষ্ঠ জনসাধারণ। প্রায় ২০ বছর ধরে কোন প্রকার উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কটিতে বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দে ভরা। সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সহ গাড়ি চলাচল ও হাঁটার অনোপযোগী হয়ে ওঠে সড়কটি। এই সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তে পানি জমে আছে। ফলে জনগণের চলাচলে ভোগান্তির শেষ নেই।

বিশেষত, মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গাউছিয়া বাকেরিয়া মহিলা মাদ্রাসা, মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু কিডারগার্টেন ও নূরানী মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীর চলাচল এই সড়কে। এইসব শিক্ষার্থীরা সকালে স্কুল ড্রেস পড়ে ঘর থেকে বের হলেও বিকালে কাদামাখা ড্রেসে ফিরতে হয় ঘরে। এছাড়া ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সকল পথচারী ও শিক্ষার্থীরা। এ সড়কে কোন প্রসূতি রোগী নিয়ে গেলে তার দ্বিগুণ কষ্ট বাড়ে বলে জানায় স্থানীয়রা। 

যেসব গাড়ি এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে গাড়িগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। দুই একদিন পরপরই এই গাড়িগুলো মেরামতের প্রয়োজন হয় পাশাপাশি জনভোগান্তি তো আছেই। এছাড়া সাধারণ জনগণ ও শিক্ষার্থীরাসহ প্রতিদিন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষের নির্ভরশীলতা রয়েছে এই সড়কে। 

জানা গেছে, ভারী যানবাহন ও দীর্ঘ সময় ধরে কোন প্রকার মেরামতের কাজ না করাই রাস্তার এই বেহালদশা। তবে, এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে সাধারণ ও অসুস্থ রোগীদের সমস্যার শেষ নেই। বড় বড় গর্তের মধ্যে যানবাহনের চাকা পড়ে অনেক সময় আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ তাদের এই সমস্যা দীর্ঘদিন যাবত চলতে থাকলেও দেখার কেউ নেই। এই রাস্তা মেরামতের কাজ করার আহ্বান জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন খাঁন সুমন জনবাণীকে বলেন, ‍“ইতিমধ্যেই সড়কের বিষয়ে আমরা উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছি। এটি একবার কাজ শুরু হয়ে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় ঠিকাদার না করে চলে যায়। যার কারণে এই রাস্তাটার অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে যায়। আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ইউনিয়ন পরিষদ ১% থেকে আমরা কিছু ইট দিয়ে রাস্তাটা সমান করার চেষ্টা চালাবো যাতে জনগণের ভোগান্তি কিছুটা কমে এবং তা অতি শীঘ্রই শুরু হবে। পাশাপাশি পরবর্তীতে সড়কটি পুনরায় স্টিমিট করে দেয়া হলে কাজ শুরু হবে।” 

সড়কের বিষয়ে জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা প্রকৌশলী জয়শ্রী দেয় জনবাণীকে বলেন, “ইতিমধ্যে ১ বার স্টিমিট করা হয়েছে এবং হালকা খুড়াখুড়িও করা হয়েছে। তবে নির্মান সামগ্রীর দাম বাড়ার কারণে কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদার। দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা এটা আবার পাঠাব। আশা করি, জনপ্রতিনিধিরাসহ এগিয়ে আসলে দ্রুত কাজ শুরু হবে।” 

এসএ/