নারীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে ভার্মি কম্পোস্ট


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


নারীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে ভার্মি কম্পোস্ট

কেঁচো  কম্পোস্ট একটি জৈব সার যা জমির উর্বরতা বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। এই কেঁচো সার উৎপাদনে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের কৃষাণীরা। সফলতা পাওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বীও হয়েছেন প্রায়  শতাধিক কৃষাণী। সারের গুণগত মান ভালো হওয়ায় স্থানীয় কৃষক এবং নিজেদের চাহিদা পূরণ করে এখন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার  কৃষকদের চাহিদা পূরণ করছে এই ভার্মি কম্পোস্ট সার।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় পকম্বা গ্রামে ৩০ জন এবং কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন (সিডিএ) দিনাজপুরের আর্থিক সহায়তায় উপেজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের গাংগুয়া জৈব কৃষি চর্চা নারী উন্নয়ন জনসংগঠনের ৩৬  জন নারীকে কেঁচো সার উৎপাদনের জন্য  প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। 

পকম্বা চাকলাপাড়া কৃষক গ্রুপের সদস্য আলেয়া ও শহরবানু জানান, ‍“ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনের  বর্তমানে সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে একেক পরিবারে পনেরশো থেকে ২ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। যা আমাদের পরিবারে  নিয়ে এসেছে  স্বচ্ছলতা বলে জানান ভার্মি কম্পোস্টের সেই কারিগরেরা।”

গাংগুয়া জনসংগঠনের সদস্য মোছাঃ: হাজেরা জানান, “সিডিএ’র সহযোগিতায় গত বছর আমরা সিমেন্টর ২০ হাউস তৈরি করি। এ শেড থেকে যে সার উৎপাদন হয় সে সার আমরা ১২-১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। এ পর্যন্ত আমরা এই শেড থেকে লক্ষাধিক টাকার অধিক কেঁচো সার বিক্রি করি।”

পয়গাম আলী নামের এক সদস্য জানান, “শেডের ভিতরে অর্থাৎ বাড়িতে কেঁচো সার উৎপাদন যেমন  সহজ তেমনি এর চাহিদাও বেশি। এ কাজ থেকে বিনা ঝামেলায় অতিরিক্ত আয় হয়, পাশাপাশি নিজেদের জমিতেও ব্যবহার করছি এ সার। এর সার ব্যবহারের চাহিদা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান যদি আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায় তাহলে আমরা অনেক দুর এগিয়ে যাব।”

উচ্ছিষ্ট, গোবর, তরকারির খোসাসহ আবর্জনা দিয়ে কেঁচোর মাধ্যমে প্রক্রিয়া করে আদর্শ ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করা হয়। এ সার ধান, ভূট্রা, আলু ও মাল্টা বাগানের জন্য খুবই উপকারী। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ জনবাণীকে বলেন, “স্থানীয় কৃষকদের মাঝে কেঁচো সারের চাহিদা অনেক বেশি। কেঁচো সার উৎপাদনে আমরা কৃষি দপ্তর  বিভিন্ন  এলাকা এবং সংগঠনের নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি । বিভিন্ন সেমিনার,ওঠান বৈঠকে আমরা কৃষকদের জৈব সার ব্যবহারে এবং কৃষকদের রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে কম্পোস্ট সারের ব্যবহার বাড়াতে পরামর্শ দিয়ে থাকি।” 

এসএ/