তরুণদের নৈতিক অবক্ষয়ের জন্য দায়ী কে?


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


তরুণদের নৈতিক অবক্ষয়ের জন্য দায়ী কে?

একুশ শতকের বর্তমান সময়ে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশী দেখা যাচ্ছে তা হলো তরুনদের মাঝে নৈতিক অবক্ষয়ের বিস্তার। দিন দিন এটা মহামারীর মত বেড়েই চলেছে। একটা দেশের এবং জাতির শক্তিশালী সম্পদ হচ্ছে যুবসমাজ আর ওদের এই অবক্ষয় একদিনে তৈরী হয়নি। এই নৈতিক অবক্ষয়ের মূল কারন হচ্ছে নৈতিক শিক্ষার অভাব, মাদকের বিস্তার, আকাশ সংস্কৃতির বিষাক্ত ছোবল,  বেকারত্ব্ ওদের যথাপোযুক্ত মূল্যায়ন না করা।আমরা সবাই জানি,আজকের তরুণরাই আগামী দিনের দেশ ও জাতির কর্ণধার। অর্থাৎ যুবসমাজই পারে শত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে দেশকেস্বপ্নের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, যুবসমাজ এখন বিপথে পরিচালিতহচ্ছে। যুবসমাজের অবক্ষয়ের কারণে জাতি হতাশায় নিমজ্জিত।যুবসমাজের অবক্ষয় জাতির বুকে গভীর ক্ষত তৈরি করছে। গোটাসমাজকে ঠেলে দিচ্ছে অনিশ্চিত অন্ধকারের দিকে। আর এই সমস্যার প্রতিকার না হলে দেশ ও জাতি ভয়াবহ অবস্থার সম্মুখীন হবে। একটি সমাজ ও একটি রাষ্ট্রের ভবিষ্যত সম্পদ হলো তরুণ সমাজ। সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নতি-সমৃদ্ধি নির্ভর করে তরুণ সমাজের ওপর। যেকোনো জাতির প্রাণশক্তি তাদের যুবসমাজ। যুবসমাজই জাতির আশা-আকাঙ্খার মূর্ত প্রতীক। যুবসমাজ যেকোনো দেশ ও জাতির সোনালি স্বপ্ন। আজকের যুবকরাই পরিচালনা করবে আগামীর সমাজ, রাষ্ট্র ও জাতিকে। যুবকদের প্রেমময় রূপ ও শক্তির কারণে দরিদ্র, নিঃসহায় প্রবঞ্চিত ও নিগৃহীত জনতা লাভ করবে নতুন জীবন, প্রদীপ্ত হবে নব উদ্দীপনায়। কিন্তু সম্প্রতি সেই যুবসমাজের প্রতি তাকালে জাতিকে অবাক হতে হয়। কারণ দেশ ও জাতির কর্ণধার সেই যুবসমাজ নৈতিক অবক্ষয়ের সাগরে আকণ্ঠ নিমজ্জিত। তাদের অনেকেরই নৈতিক কিংবা সামাজিক মূল্যবোধ নেই। এই যুবকদের মধ্যে কেউ মাদকাসক্ত, কেউ অসামাজিক, কেউ চাঁদাবাজি, কেউ অস্ত্রবাজি, কেউ চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই, প্রভৃতি অন্যায় অপকর্মে লিপ্ত। 

নৈতিকতা বা মূল্যবোধের অবক্ষয়ে জর্জরিত আমাদের বর্তমান সমাজ। এটাই এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা। আমরা সামাজিক জীব। ব্যক্তির যেমন চাহিদা আছে, তেমনি সমাজেরও আছে। মানুষের কাছ থেকে সমাজ সব সময় সামাজিক আচরণ প্রত্যাশা করে। প্রত্যেক সমাজে তার সদস্যদের আচরণ পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতি থাকে। নীতিহীন সমাজে উচ্ছৃঙ্খলতা, বিভ্রান্তি আর ও অনিশ্চিতা বিরাজিত থাকে। নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ে মানুষের মধ্যে আসছে নানা অনাকাঙিক্ষত পরিবর্তন। সমাজ ও পরিবারে ধরছে ভাঙন। নষ্ট হচ্ছে পবিত্র সম্পর্কগুলো। ছিঁড়ে যাচ্ছে বিশ্বাসের সুতো। চাওয়া-পাওয়ার ব্যবধান বেড়ে যাচ্ছে অনেক। আকাঙক্ষা পরিপূরিত না হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে আত্মহত্যার মতো ঘটনা। মানুষের অন্যায্য অনৈতিক ব্যবহারে ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে অন্য মানুষ। বাড়ছে সামাজিক অবক্ষয়। দিন দিন মানুষের মানসিক বিকৃতি বাড়ছে। হতাশা বা অস্থিরতা বিরাজ করছে ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে সমাজ জীবনে, বেঁচে থাকার প্রতিটি ধাপে। মায়া-মমতা, স্নেহ-ভালোবাসাকে বিসর্জন দিয়ে মানুষ পাশবিক হয়ে উঠছে। এমন কোনো অপরাধ নেই, যা সমাজে সংঘটিত হচ্ছে না মূলকথা, মানুষ দিন দিন প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠছে। নিজেকে জাহির করা, নিজের একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ প্রিয়জনকে হত্যার মতো জঘন্য কাজে লিপ্ত হচ্ছে। নিজের জিদের লাগাম টানতে পারছে না মানুষ। এর প্রধান কারণ মানুষে মানুষে বিচ্ছিন্নতা। বিচ্ছিন্নতা থেকে তৈরি হয় হতাশা, বিষণ্ণতা। তাছাড়াও মাদকাসক্তি সমাজের এই ন্যক্কারজনক হত্যাকাণ্ডগুলোর জন্ম দিচ্ছে। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের এক ধরনের মানসিক বিকৃতির লক্ষণ। সচেতনতা ছাড়া সমাজ থেকে এ ধরনের অপরাধ দূর করা সম্ভব নয়। মূল্যবোধ হলো রীতিনীতি ও আদর্শের মাপকাঠি; যা সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়। নীতি ভালো-মন্দের মধ্যে একটা স্পষ্ট পার্থক্য গড়ে দেয়। 

সুতরাং ভিত্তি যদি নড়বড়ে হয়ে যায়, তাহলে সে সমাজ বা রাষ্ট্রের অনেক কিছুতেই ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়।আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগেও দেখা যেত কেউ একজন অনৈতিক কাজে জড়িত থাকলে তাঁকে অনেকেই এড়িয়ে চলছেন। এমনকি যিনি অন্যায় বা অপরাধ করতেন, তিনি নিজেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে অন্যদের এড়িয়ে চলতেন। অন্যদিকে গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষক কিংবা বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ ভালো হওয়ার পরামর্শ দিতেন। বয়স্ক ব্যক্তি, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, আইন কর্মকর্তাদের সবাই সম্মান করতেন। কিন্তু ২০১৯ সালে এসে আমাদের খুঁজতে হয় সম্মান ও নীতির ব্যাপারটার আদৌ কোনো অস্তিত্ব আছে কি না। অথবা এর প্রয়োজনীয়তা ও ব্যবহারের ক্ষেত্র কোনটি। অধিকাংশ সচেতন নাগরিক মহল এ অবস্থাকে নৈতিক অবক্ষয় হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকে। অবক্ষয় ব্যাপারটা ক্যানসারের মতো। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা না হলে পুরো সমাজকে ধ্বংস করে দিতে পারে। যা আমরা এখন প্রতিনিয়ত দেখছি। সম্মানের সঙ্গে নীতির এবং নীতির সঙ্গে সামাজিক পরিস্থিতির একটা শক্তিশালী সম্পর্ক আছে। এই সম্পর্কটি যত দুর্বল হয়, নৈতিক অবক্ষয় তত মজবুত হয়। নৈতিকতার বিচ্যুতি বর্তমানে আমাদের সমাজের সবক্ষেত্রেই দেখা যায়। বিচ্যুতি নেই এমন স্থান খুঁজে পাওয়া দুষ্কর ও কষ্টসাধ্য ব্যাপার। শিক্ষা, শিক্ষক, শিক্ষকতা, ছাত্র ও অভিভাবক দিয়েই শুরু করা যাক। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ার প্রথম ধাপ ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র, যেখানে প্রত্যেকের একটা নির্দিষ্ট ভূমিকা থাকে। একসময় পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি নৈতিকতা, আদর্শ, আচার-আচরণ শেখানো হতো। এখন প্রায়ই দেখা যায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীর যৌন হয়রানির ঘটনা। শিক্ষক যখন এ রকম কুকর্মে লিপ্ত থাকেন, সেই শিক্ষকের কাছ থেকে নৈতিকতা শেখার কোনো সুযোগ নেই। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, শিক্ষা সভ্য দেশ জাতি ও মানুষকে আদর্শ নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলে। আর শিক্ষার মাধ্যমে সেই কাজটি করে থাকেন একজন শিক্ষক। শিক্ষক হলো মানুষ গড়ার কারিগর। 

কিন্ত আজ সেই শিক্ষকই আমাদের দেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে একের পর এক লাঞ্ছিত, নিপীড়িত ও নিগৃহীত হচ্ছে।এটা কোন সভ্য জাতির বা দেশের জন্য শুভ লক্ষন নয়। একজন শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। কেন ছাত্র বা বহিরাগত লোকজনের হাতে লাঞ্ছিত বা নিপীড়িত হবে? এমন প্রশ্ন দেশের বিবেকবান মানুষের নিকট থেকে ছুটে আসে। এর জন্য কে বা কোন শ্রেনীপেশার মানুষ দায়ী। এসব ঘটনার চুলছেরা বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, একজন মানুষের মধ্যে যখন নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটে তখন মানুষ এরকম হীন কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে পুরো সমাজেই অস্থিরতা বাড়ছে, যার প্রভাব পড়ছে শিক্ষাঙ্গনে। বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই নৈতিক অবক্ষয়ের ভয়াবহ চিত্র অব্যাহতভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। তার ব্যাপকতা ও বিশালতার শেষ নেই।জাতীয় সামাজিক পর্যায়ের রন্ধ্রে রন্ধ্রে স্তরে স্তরে নিত্য তা স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে। জীবনের প্রথম থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত এমন সব মহাপাপ সংঘটিত হচ্ছে, যার বিবরণ দান করা যেমন কঠিন, অনেক ঘৃণ্য অপরাধের কথা কলমে ধারণ করাও অত্যন্ত লজ্জাস্কর। এসব কিসের আলামত? এককথায় এর জবাব, সমাজ তথা জাতীয় জীবনে ধর্মীয়-নৈতিক অবক্ষয়ের চরম কলঙ্কজনক পরিণতি। সামাজিক অপরাধপ্রবণতার এ করুণ দশা রাতারাতি জন্মলাভ করেনি। সামাজিক অসতর্কতা, অসচেতনতা, অবহেলা, উদাসীনতা এবং ধর্ম-চিন্তার অভাব-অবজ্ঞা প্রভৃতির সুযোগ এবং লাগামহীনতার কারণে এর উদ্ভব ঘটেছে বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতির কারণে আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। যার ফলে জীবনযাত্রার মানেও অনেক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের ফলে মানুষ যেমন উন্নতির স্বর্ণশিখরে আরোহণ করছে তেমনি তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের ফলে নিজেদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে  

আধুনিক নগর সমাজের সার্বিক চিত্র বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখতে পাই, শিশু-কিশোররা যে পরিবেশে লালিত-পালিত হচ্ছে সেখানে তাদের খেলাধুলার জন্য পর্যাপ্ত মাঠ নেই, স্কুলগুলোতে মাঠের অপ্রতুলতা, বিনোদনের অভাব, ঘুরে বেড়ানোর জায়গার সীমাবদ্ধতা, সর্বোপরি অভিভাবকদের কাজের ব্যস্ততা। শিশু-কিশোরদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা এবং বিনোদনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। কিন্তু আমরা তাদের সে চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছি। যার ফলে ভিডিও গেমস, মোবাইল, ইন্টারনেট, ফেসবুক সেই জায়গা দখল করে নিচ্ছে। এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেল শিশু-কিশোরদের দারুণভাবে প্রভাবিত করছে। বর্তমানে কিশোর সমাজের এক বিরাট অংশ কাল্পনিক ভিডিও গেমসের অতিভক্তে পরিণত হয়েছে। ভিডিও গেমস গ্রুপ বানিয়ে মারামারি করছে। হারজিত নিয়ে উত্তেজিত হচ্ছে। ফলে তাদের মধ্যে সহনশীলতা একেবারেই কমে যাচ্ছে। অল্প বয়সেই তারা হিংস্র হয়ে উঠছে। নানাভাবে গ্যাং তৈরি করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করছে। একই এলাকায় বিভিন্ন গ্যাং পার্টির মধ্যে প্রায়ই ঘটছে সংঘর্ষ। গ্যাং পার্টির অনেক সদস্য মাদক সেবন, ছিনতাই, রাহাজানি কিংবা বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। এতে সামাজিক অবক্ষয়, বিশৃঙ্খলা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।যে সমাজে মূল্যবোধ ধ্বংসের মুখে। বেকারত্ব, সন্ত্রাস,রাজনৈতিক কুপ্রভাব,অপসংস্কৃতি, অর্থনৈতিক দৈন্য যুবসমাজকে দারুণভাবে প্রভাবিত করছে। ফলে তারা সুস্থ জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ঝুঁকে পড়ছে নানা অবক্ষয়ের দিকে। আমাদের যুবসমাজ বড়দের মধ্যে খুব কমই আদর্শবান মানুষ খুঁজে পাচ্ছে, যাদের থেকে তারা অনুপ্রেরণা পাবে। তারা অহরহ দেখছে রাজনীতির নামে মিথ্যাচার, সমাজ সেবার নামে সেচ্ছাচার আদর্শের নামে প্রতারণা।

সমাজের সর্বস্তরে মূল্যবোধের এই অবক্ষয়ের শিকার আমাদের যুবসমাজ, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, শিক্ষাক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনা যুবসমাজকে বিপথগামী করার ক্ষেত্রে বহুলাংশে দায়ী। অসুস্থ ছাত্র রাজনীতি নামধারী সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ ছাত্ররা। আর তাই এখনি নিতে হবে সময়োপযুক্ত পদক্ষেপ, শিক্ষাঙ্গনকে করতে হবে সুশিক্ষার কারখানা। সব প্রকার মাদকদ্রব্যের ব্যবহার, উৎপাদন, বিক্রয় নিষিদ্ধ করে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। অপরাধীদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে। এই ক্ষেত্রে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে, দুর্নীতিকে সর্বক্ষেত্রে পরিহার করতে হবে। সব প্রকার মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণ করতে হবে। যুবসমাজের অবক্ষয়ের কারণে দেশে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যতার মধ্যে মাথা উঁচু করার শক্তি হারিয়ে ফেলছে। যুবসমাজই দেশের প্রাণশক্তি, তাদের বিপথগামীতার অর্থ হলো গোটা জাতির ধ্বংস। তারাই জাতির আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক। তাদের উদ্ধার করতে হবে অবক্ষয়ের অতল গহ্বর থেকে। তা না হলে গোটা জাতি অবক্ষয়ের সাগরে ডুবে মরবে। মানব সভ্যতায় যুবসমাজের রয়েছে মুখ্য ভূমিকা। তাই তাদের দিকে বাড়িয়ে দিতে হবে স্নেহের হাত। ওদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। পরিচালিত করতে হবে সঠিক পথে। ওদের বোঝাতে হবে যে, ওদের দিকে চেয়ে আছে গোটা দেশ ও জাতি। তাই শুধু সরকার নয়, এই সমাজকেও বাড়িয়ে দিতে হবে ওদের দিকে সহানুভূতির হাত। তবেই রক্ষা করা যাবে যুবসমাজ আর বাঁচবে দেশ। বয়ে আনবে সমাজের জন্য কল্যাণ।

লেখক: রায়হান আহমেদ তপাদার, গবেষক ও কলামিস্ট।  

এসএ/