‘১৭ কোটি মানুষকে একটি বলয়ের মধ্যে নিয়ে আসা বড় চ্যালেন্স’
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
“রাষ্ট্র ক্ষমতায় ১৩ বছর থেকে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন সরকার। দেশে ১৭ কোটি মানুষকে একটি বলয়ের মধ্যে নিয়ে আসা বড় চ্যালেন্স। সেই চ্যালেন্স বহন করে প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাই দেশে কেউ না খেয়ে থাকেন না। এতে কেউ সুবিধার বাইরে থাকার কথা না। যদি কেউ থাকে এ জন্য দায়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বর এবং সকল দপ্তরের সংশ্লিষ্ট্র কর্মকর্তার অবহেলার কারণে। বৃধবাভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধভাতা, গৃহহীণ-ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণ থেকে শুরু করে সকল অচ্ছল মানুষকে সেবার আওতায় আনা হয়েছে। তবে কেউ অসৎ উদ্দ্যেশে সরকারি সুবিধা ভোগ করে থাকেন, তাহলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা রয়েছে।”
বৃহস্পতিবার (১১ আগষ্ট) সকালে রাজশাহীর বাঘা উপজেলা সমাজ সেবা ও যুব উন্নয়ন অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্টোক, প্যারালাইজ, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগী ও যুব ঋণের চেক বিতরণ অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “অবহেলিত সমাজকে প্রতিষ্টিত করার লক্ষে কাজ করছেন জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। আত্মমর্যদাশীল রাষ্ট গড়তে চাই। প্রতিহিংসার রাজনীতি করিনা। উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। রাষ্টের দায়িত্ব হলো সবার। যে যেখান থেকে দায়িত্ব পালন করছেন, সে সেখান থেকে মর্যাদার সাথে দায়িত্ব পালন করলে পৃথিবীতে বাংলাদেশ মর্যাদাশীল স্থানে পৌছে যাবে। ইতিমধ্যে দেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে পর্যাদা লাভ করেছে। পৃথিবীর সকল দেশের সাথে পররাষ্ট্রনীতি মেনে চলছি।”
তিনি আরও বলেন, “এটি শোকের মাস। আমাদের দুর্ভাগ্য যার জন্য মায়ের ভাষা ফিরে পেয়েছি আজ তিনি নেই। তবে তাঁর সুযোগ্য কন্যা পিতার সকল আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এ থেকে আমার বিশ্বাস তাঁর আত্মা অবশ্যই শান্তি পাবে। ঘাতকের সামনে মাথানত করেনি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু। তাঁর জন্য পাকিস্থানের কারাগারে কবর খোড়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেখান থেকে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। কারন তিনি এ দেশের মাটি ও মানুষকে ভালবাসতেন। অথচ একটি স্বার্থন্বেষী মহল ১৫ আগষ্ট কালরাত্রিতে বঙ্গবন্ধসহ তাঁর পরিবারকে বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করা করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “একটি সোনার বাংলা গড়তে চাই। এ জন্য সোনার মানুষ চাই। সোনার মানুষ হতে হলে উন্নত শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। শিক্ষার মান উন্নয়নে সকল শিক্ষককে আন্তরিকতার সাথে পাঠদান করাতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ভালো করে পড়ালেখার উপদেশ দিতে হবে।”
আয়োজিত অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার। উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা এমরান হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ণ কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন, সমাজসেবা কর্মকর্তা নাফিজ শরিফ। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মন্টু, অধ্যক্ষ নছিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদিক কবীর, বাঘা পৌর আ,লীগের সভাপতি আবদুল কুদ্দস সরকার, বাঘা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু, বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেনসহ উপজেলার সকল কর্মকর্তা।
আয়োজিত অনুষ্টানে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের পক্ষে ১৪ জনকে দুরারোগ্যে রোগে আক্রান্ত ৭ লক্ষ টাকার চেক এবং যুব উন্নয়ন অফিসের পক্ষে ৩৭ জন যুবককে ১৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার চেক যুব ঋণ হিসেবে প্রদান করা হয়।
এর আগে অমরপুর-ধন্দহ উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলা নির্মিত একাডেমিক ভবন উদ্বোধন, বাজুবাঘা ইউনিয়ন আ,লীগের আয়োজনে চন্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
এসএ/