ছাত্রকে বিয়ে করা সেই অধ্যাপকের লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ছাত্রকে বিয়ে করা সেই অধ্যাপকের লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক

কিছুদিন আগে মো. মামুন হোসেন (২২) নামের ছাত্রকে বিয়ে করে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টিকারী নাটোরের গুরুদাসপুরের সেই কলেজ অধ্যাপক খাইরুন নাহার (৪০) আত্মহত্যা করেছেন।  

রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে নোটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় এক ভাড়া বাসাতে তার মরদেহটি পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তার স্বামী মামুনকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।

নাটোর সদর থানার কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‍“মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।”

শিক্ষিকা মোছা. খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে এবং উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। গত ৩১ জুলাই তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় বিয়ের খবরটি ভাইরাল হয়। এতে সারা বাংলাদেশে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে দুজন গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাসের বেশি সময় পার হওয়ার পর সম্প্রতি বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর খুবজিপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং মামুন নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, এক বছর আগে ফেসবুকে শিক্ষিকা নাহারের সঙ্গে একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে দুজন বিয়ের সিন্ধান্ত নেন। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের ৬ মাস পর তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার থেকে এখনও বিয়ে মেনে নেননি। এর আগে ওই শিক্ষিকা প্রথমে বিয়ে করেছিলেন রাজশাহী বাঘা উপজেলার এক ছেলেকে। পারিবারিক কলহে সেই সংসার বেশিদিন টিকেনি। প্রথম স্বামীর ঘরে একজন সন্তান রয়েছে।

এসএ/