সন্ধ্যা নামলেই ছিনতাই আতঙ্ক মনোহরপুর-খয়েরহুদা সড়কে


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


সন্ধ্যা নামলেই ছিনতাই আতঙ্ক মনোহরপুর-খয়েরহুদা সড়কে

ছিনতাই বেড়েছে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর-খয়েরহুদা গ্রামের সড়কে। সন্ধ্যা নামলেই এই সড়ক হয়ে উঠছে এক আতঙ্কের নাম। গত কয়েক বছর ধরে এখানে অনেকেই ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। সর্বশেষ ছিনতাইকারিদের কবলে পড়েন খয়েরহুদা গ্রামের ব্যবসায়ী কৌশিক আহমেদ জনি। রাতে জীবননগর থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে তিনি ছিনতাইকারিদের কবলে পড়েন। এ সময় তার কাছ থেকে নগদ অর্থ ও মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়। 

ক্রমবর্ধমান এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের মনোহরপুর বাসষ্টান্ডে মানববন্ধন করেন খয়েরহুদা, মনোহরপুর ও কাশিপুরের সর্বস্তরের মানুষ। এ সময় তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। একইসাথে সড়কটিতে পুলিশের একটি স্থায়ী ক্যাম্প করারও দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, খয়েরহুদা, কাশিপুরসহ আরো কয়েকটি গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ মনোহরপুর-খয়েরহুদা সড়ক ব্যবহার করে চলাচল করে। জীবননগরে ব্যবসার কারণে অনেককে রাত করে বাড়ি ফিরতে হয়। কিন্তু রাতে বাড়ি ফিরতে গিয়ে প্রায়ই মানুষকে ছিনতাইকারিদের কবলে পড়তে হয়। এ বিষয়ে থানায় লিখিতভাবে অবহিত করা হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাওকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি। এ বিষয়ে আমরা ডিসি, ইউএনও এবং পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তারা আরো বলেন, মনোহরপুর-খয়েরহুদা সড়কে পুলিশি টহল বাড়ানো হোক এবং সড়কে পুলিশের একটি স্থায়ী ক্যাম্প করারও দাবি জানাচ্ছি।   

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম জনবাণীকে বলেন, ‍“ছিনতাইয়ের বিষয়ে আমরা এখন পর্যন্ত অবগত না। আপনার কাছে থেকেই জানতে পারলাম। অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান জনবাণীকে বলেন, “এসব সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। আমি আজই জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পুলিশি টহল বাড়ানোর বিষয়ে বলবো। একই সাথে তিনি ছিনতাইকারিদেরকে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার আশ্বাসও দেন।”

এসএ/