ভূয়া দলিল করে মুক্তিযোদ্ধাকে হয়রানি !


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ভূয়া দলিল করে মুক্তিযোদ্ধাকে হয়রানি !

শরীয়তপুর শহরের মনোহর বাজার এলাকায় সরকারী সম্পত্তির ভূয়া দলিল বানিয়ে আত্মসাতের চেষ্টা ও মুক্তিযোদ্ধাকে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে একটি প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে। চক্রটি ভূয়া দলিল প্রদর্শণ করে সরকারি জমি নিজেদের নামে নামজারি হাসিল করেছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই দাগের শরিক এক মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে দলিল ভূয়া হওয়ায় জমিনের নামজারি বাতিল করেছে শরীয়তপুর সদর উপজেলো সহকারী কমিশনার ভূমি। এখনো ভূয়া দলিল দেখিয়ে জমিটি বিক্রি ও মুক্তিযোদ্ধাসহ ওই খতিয়ানের অন্যান্য শরীকদের হয়রানির অভিযোগ করছে মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যরা। 

উপজেলা ভূমি অফিস ও মুক্তিযোদ্ধার পরিবার সূত্র জানায়, শরীয়তপুর শহরের ৮২ নং দক্ষিণ মধ্যপাড়া মৌজায় ৩৪১ খতিয়ানে ৬৭ শতাংশ জমির মধ্যে ৪৩ শতাংশ জমি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসকের ১/১ খতিয়ান ভূক্ত। দক্ষিণ মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল সরদারের ছেলে আ: ছাত্তার সরদার, আবু আলেম সরদার, নুরে আলম সরদার, আ: ছালাম সরদার গংরা ৭৫৪২ তারিখ ২৪/২/০৯ নং দালিল ও ৮৯৫০ তারিখ ৬/৬২০০১ নং দলিল মুলে মালিকানা দাবী করে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এর কার্যালয় থেকে নামজারি হাসিল করেন। এরমধ্যে এসএ ১৩ ও বিআরএস ১৭ দাগের ৫ শতাংশ নামজারি বাতিলের জন্য বিআরএস (১৭ দাগের আংশিক মালিক) বীরমুক্তিযোদ্ধা আদেল উদ্দিন খন্দকার উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এর নিকট আবেদন করেন। 

তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করেন সহকারী কমিশনার ভূমি। এতে আবু আলেম গংদের মালিকানার প্রমানক হিসেবে প্রদত্ত দলিল দুটি সঠিক নয় বলে প্রতিয়মান হওয়ায় তৎকালীন সহকারী কমিশনার ভূমি জিনিয়া জিন্নাত ২০ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে ৮২ নং দক্ষিণ মধ্যপাড়া ৩৪১ খতিয়ানের ৪৩ শতাংশ ভূমির উপর প্রদত্ত  আবু আলেম গংদের ২২১৭/১৮-১৯ নামজারিটি বাতিল করেন। 

এরপরে মুক্তিযোদ্ধা আদেল উদ্দিন খন্দকার জালজালিয়াতির মাধ্যমে সম্পাদিত দলিল দুটি বাতিল চেয়ে শরীয়তপুরের চিকন্দী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। যাহার মোকাদ্দমা নাম্বার ৪৬৪/২১। মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে। কিন্তু ওই জালদলিল প্রদর্শন করে জমিবিক্রির পায়তারা করছে একটি কুচক্রি মহল। এছাড়া ওই খতিয়ানের অন্য অংশিদারদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আদিল উদ্দিন খন্দকার।

ভূক্তভোগী আদিল উদ্দিন খন্দকার বলেন, “৮২ নং দক্ষিণ মধ্যপাড়া মৌজায় ৩৪১ খতিয়ানে ৬৭ শতাংশ জমির মধ্যে ৪৩ শতাংশ জমি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসকের ১/১ খতিয়ান ভূক্ত। একই এলকার আ: ছাত্তার সরদার, আবু আলেম সরদার, নুরে আলম সরদার, আ: ছালাম সরদার গংরা  জালজালিয়াতির মাধ্যমে দুটি দলিল সম্পাদন করে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছিল”। আমি বিষয়টি সহকারী কমিশনার ভূমি এর নজরে এনেছি। তিনি কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দলিল দুটি সঠিক না থাকায় মিউটিশন বাতিল করেছে। এখনো সম্পত্তিটি বিক্রয় ও আমাকে নানা ভাবে হেনেস্থার চেষ্টা করছে প্রতারক চক্রটি। 

আরএক্স/