কাশিমপুর উবির সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থ বাণিজ্য ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


কাশিমপুর উবির সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থ বাণিজ্য ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ

চাদপুরের মতলব দক্ষিন উপজেলার কাশিমপুর পুরন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে স্বজন প্রীতি ও নিয়োগ অর্থ বাণিজ্যেও অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর শিপন মিয়া নামে এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ করেছেন। জানা যায় গত ৯ আগষ্ট কাশিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ জন আয়া, ১ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী, ১ জন অফিস সহায়ক ও ১জন কম্পিউটার ল্যাব অপরেটর পদে মোট চার জনের নিয়োগ পরীক্ষা চাঁদপুর মাতৃপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়ে  অনুষ্ঠিত হয়। 

এদের মধ্যে আয়া পদে ৫ জন আবেদন করেন, তাদের মধ্যে ৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন, পরিচ্ছন্নকর্মী পদে ৪ জন আবেদন করেন তাদের মধ্যে ৩ পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেন, অফিস সহায়ক পদে ৮ জনের মধ্যে ৭ জন অংশগ্রহণ করেন, এছাড়া কম্পিউটার ল্যাব অপরেটর ৫ জনের মধ্যে ২ জন উপস্থিত থাকায় তাদের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। নিয়োগ পরিক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছে তারা হলেন আয়া পদে হাফসা বেগম,  অফিস সহকারি পদে উৎপান গনি ও পরিচ্ছন্ন কর্মী সাখাওায়াত হোসেন,  শাখাওায়াত হোসেন সভাপতির আপন ভাতিজা বলে জানা গেছে। 

হাফসা বেগমকে চাকরী দিতে তার পরিবারের কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা নিয়েছে বলে এলাকার একাধিক ব্যক্তিরা জানান। এ ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আঃ রহিম খানের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের সভাপতি বিল্লাল হোসেন মোটা অংকের টাকার বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। আয়া পদে পরীক্ষার্থী তানজিলা আক্তারের স্বামী শিপন বলেন আমার স্ত্রীকে চাকরী দেওয়ার কথা বলে বিদ্যালয়ের সভাপতি বিল্লাল হোসেন আমার কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা নিয়েও চাকরী দেয়নি। আমি স্ত্রীর চাকরীর জন্য জমি বিক্রি করে টাকা দিয়েছি । 

এছারাও সাদ্দাম নামে একজনের কাছ থেকে ৮৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন অফিস সহায়ক পদে চাকরী দেওয়ার কথা বলে। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন এ ভুক্তভোগী। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহিম খান বলেন শিপন নামে একজন লিখিত অভিযোগ করেছেন। নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা হক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তের পর সঠিক তথ্য জানা যাবে ।

আরএক্স/