দুই সন্তানসহ প্রেমিকের হাত ধরে উধাও গৃহবধূ!


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


দুই সন্তানসহ প্রেমিকের হাত ধরে উধাও গৃহবধূ!

ভোলার লালমোহন উপজেলায় দুই সন্তান নিয়ে দূর সম্পর্কের এক মামার হাত ধরে উধাও হয়ে গেছেন রিমা বেগম (২৬) নামে এক গৃহবধূ। পালিয়ে যাওয়ার সময় সঙ্গে নিয়ে গেছেন স্বামীর গুছচ্ছিত টাকা ও স্বর্ণালংকার।

সোমবার (২৯ আগষ্ট) দিনগত রাতে উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সকালে লালমোহন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রিমা বেগমের স্বামী জুবায়ের হোসেন। অভিযোগের পর লালমোহন থানা পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছেন।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয় প্রায় ৮ বছর আগে জুবায়ের হোসেনের সঙ্গে রিমা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৫ বছরের একটি কন্যা সন্তান ও দুই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। দাম্পত্য জীবনে তাদের সাংসারিক সমৃদ্ধি সুখের হলেও হঠাৎ করে রিমা বেগম পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর দূর সম্পর্কের মামা পরিচয়ে তজুমদ্দিন উপজেলার গ্লোবপুর গ্রামের মতিউর রহমান পাটোয়ারী বাড়ির ইদ্রিস দরবেশের ছেলে মো.নুর-হাফেজ (৩২) ওই গৃহবধূর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। সে-সময় স্ত্রী রিমা বেগম নুর-হাফেজকে মামা পরিচয় দিতেন।

এক পর্যায়ে রিমা বেগমের সঙ্গে তার (নুর হাফেজের) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের বিষয়টি তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন জানতে পেরে তাকে শাসন করেন। এরপর সকলের অগোচরে রিমা তাঁর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক চালিয়ে যান। সোমবার রাতে স্বামী জুবায়ের হোসেন স্থানীয় বাজারে তার দোকানে  থাকাকালীন সময়ে নুর হাফেজের হাত ধরে দুই সন্তান নিয়ে উধাও হয়ে যান রিমা বেগম।

রিমার স্বামী জুবায়ের হোসেন বলেন, রিমার সঙ্গে আমার পারিবারিকভাবে বিয়ে হলেও আমি তাকে কম ভালোবাসা দেয়নি। ব্যবসায়িক জীবনে অনেক শ্রম দিয়ে অর্থ উপার্জন করে স্ত্রী ও পরিবারকে দিয়েছি সুখে থাকবে বলে। সেই সুখের ঘরে আগুন লাগিয়ে পালিয়েছে রিমা বেগম। সে আমাদের দুই সন্তানের কথাও চিন্তা করেনি। যাওয়ার সময় ৪ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। আমি তার উপযুক্ত বিচার ও আমার দুই সন্তান ফিরে পেতে চাই।

লালমোহন থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মো. জাহিদ হাসান বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে সরেজমিন গিয়ে ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করেছি। ওই গৃহবধূ তাঁর দুই সন্তান ও অভিযুক্ত যুবক নুর হাফেজ আত্মগোপনে রয়েছেন। তাদের কাউকে সরেজমিনে পাওয়া যায়নি। ঘটনাটির সুষ্ঠ তদন্ত চলমান রয়েছে।

লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী লালমোহন থানায় যে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেটির তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

আরএক্স/