শিষ্টাচার শেখাবেন না: ফখরুলকে তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতকালের বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শিষ্টাচার প্রশ্নে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘শিষ্টাচার আমাদের শেখাবেন না। শিষ্টাচার আপনার শেখার প্রয়োজন রয়েছে। আপনার নেত্রী খালেদা জিয়ার শেখার প্রয়োজন আছে।’
বুধবার (৩১ আগস্ট) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, খালেদা জিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত।
‘
এর পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন খালেদা জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানালেন কথা বলার জন্য, তখন খালেদা জিয়া যে ভাষায় কথা বলেছেন তা কোন ধরনের শিষ্টাচার? ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলের নেত্রী আহত হলেন, কিন্তু সংসদে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়া বললেন ‘তাকে কে মারতে যাবে? তিনি সঙ্গে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন।’ এটা কী ধরনের শিষ্টাচার? অথচ মির্জা ফখরুল প্রধানমন্ত্রীর শিষ্টাচার নিয়ে কথা বলেন। শিষ্টাচার আমাদের শেখাবেন না। শিষ্টাচার খালেদা জিয়া ও আপনাদের শেখা উচিত।’
গুম-খুন নিয়ে প্রচারিত সংবাদের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অবশ্যই সংবাদ প্রকাশ হবে, কিন্তু দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ বন্ধ করা। দেশের ইতিহাসে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে তার ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য সেনাবাহিনীর অফিসার এবং জোয়ানদের ধরে নিয়ে বিচার ছাড়াই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা।’
মানবাধিকারের বিষয়টা সরকার দেখছে—উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যে তালিকা নিয়ে কথা বলে তাদের মধ্যে ১০ জনের মতো ফেরত এসেছে। ২৩-২৪ জন খুনের মামলার আসামি, ডাকাতি মামলার আসামি। এখন দেখা যাচ্ছে বিএনপি সন্ত্রাসীদের পক্ষে রাস্তায় দাঁড়িয়েছে, তাদের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে। কিছু কিছু হারিয়ে গেছে ২০ বছর আগে বিএনপি ক্ষমতা থাকাকালে। আমাদের সরকার সেটিকেও অ্যাড্রেস করছে।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২১ আগস্টের ঘটনায় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনতে দেয় নাই। এটা কী মানবাধিকার লঙ্ঘন না। জিয়াউর রহমান যাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল রাতের অন্ধকারে কোন বিচার ছাড়া, ফাঁসি দেওয়ার তিন মাস পর বিচার হয়েছে। এগুলো কী মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়? তারা আজকে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে মানবাধিকারের জন্য মানববন্ধন করে।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক সভাপতি মনজরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়াসহ অনেকেই।
ওআ/