‘পুলিশ পরিচয়ে অর্ধশত তরুণীকে অপহরণ’
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
অল্প বয়স্ক তরুণীদের পুলিশ পরিচয়ে অপরহণ করে অশালীন আচরণ ও তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করতেন শাকিল আহমেদ রুবেল (২৮) বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব কাজে তিনি পুলিশের স্টিকার সম্বলিত মোটরসাইলে, পিস্তল ও ওয়াকিটকি ব্যবহার করতেন। সর্বশেষ রুবেল রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে অপহরণ করেন।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
এবিষয়ে বিস্তারিত জানাতে রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, রুবেলের কৌশল ছিল স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের অপহরণ করে ছিনতাই ও অশালীন আচরণ করা। এসব তরুণীদের অপহরণ, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল, ব্যাগ খোয়া ও অশ্লীল আচরণ করা হলেও লোকলজ্জার ভয়ে তারা বিষয়টি গোপন করতেন। এতে রুবেলের আসল অপরাধটি অধিকাংশ সময় ঢাকা পড়ে যেত।
ডিবি প্রধান বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কল্যাণপুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীটিকে পুলিশ পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। তার কোমরে পিস্তল ছিল। হাতে ছিল ওয়াকিটকি। ওই ছাত্রীকে থানায় নেওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে ডিয়াবাড়ি নিয়ে যায়। সেখানে তার থেকে ব্যাগ, মোবাইল ও স্বর্ণালঙ্কার ছিনেয়ে নেয় রুবেল। এ ঘটনার কয়েকদিন আগে পুলিশ পরিচয়ে বরিশালে আরেক মেয়েকে তুলে নিয়েছিলেন তিনি।
হারুন বলেন, তিনি গত ১০ বছরে দেড় হাজারের মতো ছিনতাই করেছেন। অর্ধশতাধিক মেয়েকে অপহরণ করে তাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত ছয়টি মামলা রয়েছে। ঢাকায় তার কোনো স্থায়ী ঠিকানা ছিল না। হোটেলে হোটেলে থাকতেন। এখন পর্যন্ত তার তিনজন সহযোগী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তারা হলেন, আকাশ, দেলোয়ার ও হাবিব। তারা বিভিন্ন সময়ে রুবেলের চোরাই মালামাল কেনা-বেচায় তাকে সহযোগিতা করতেন।
ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনুরোধ করেছেন, রাস্তায় কেউ পুলিশ পরিচয়ে মোটসাইকেলে করে ধরে নিতে চাইলে সতর্ক হতে হবে। তাকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে। পুলিশ মোটরসাইকেলে অপরাধী নেয় না। প্রয়োজন হলে আশপাশের লোকজন জড়ো করে বিষয়টা জানাতে হবে।
আরএইচ/