ইআরডি ঋণচুক্তি: ক্ষোভ মন্ত্রিপরিষদ সচিবের প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, আইন না মেনে ঋণ চুক্তি করেছে ইআরডি। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় গলায় ফাঁসের মতো অবস্থা। ইআরডি চুক্তির প্রক্রিয়া সঠিকভাবে না বুঝলে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবিরের মতো ব্যক্তির সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।
আজ রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ আয়োজিত ‘সুশাসন নিশ্চত করনে বৈদেশিক ঋণ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সেমিনারে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বব্যাংক) আবদুল বাকি বৈদেশিক ঋণের বিষয়ে উপস্থাপন করছিলেন। এক পর্যায়ে আবদুল বাকির কথায় দ্বিমত পোষণ করে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তোমরা কীভাবে বৈদেশিক ঋণচুক্তি করো সেই প্রক্রিয়ার বিষয় জানতে চাই।
এ সময় উপযুক্ত জবাব না দেওয়াতে ক্ষোভ প্রকাশ করে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পগুলোতে ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকার অনিয়ম এখান থেকেই সৃষ্টি হয়। ফলে ঋণদাতারা তাদের নিজের মতো করে অন্যান্য কাজ করে। এর ফলে প্রকল্পগুলোতে ব্যয় বৃদ্ধি এবং ক্রয়ের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও সময় বৃদ্ধি পায়।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ইআরডির ঋণ চুক্তি সাংঘর্ষিক। ভেরি ফ্রিকুয়েন্টলি এটা হচ্ছে। রাত সাড়ে ১২টার সময় চুক্তি সই করল ইআরডি। কেউ যদি এই বিষয়ে আপত্তি করে মামলা করে তাহলে একজনও বাঁচতে পারবে না। ইআরডি এমনভাবে ঋণ চুক্তি করে বিষয়টা এমন আমি ঘুষ খাইছি কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। ইআরডি এগুলো কীভাবে সাইন করে। ইআরডি কীভাবে আইনের সহায়তা নেয় তা জানতে চাইলে আব্দুল বাকি বলেন, আইন মন্ত্রণালয় থেকে পরামর্শ নেওয়া হয়।
দেশের উন্নয়ন করতে চরিত্র ঠিক করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চরিত্র ঠিক না করলে কোনো কাজ হবে না। সারা পৃথীবির মানুষ গবেষণা করে ঠিক করেছে দুর্নীতি দূর করতে চরিত্র ঠিক করতে হবে। হার্ভাড, ক্যামব্রিজের বড় বড় পন্ডিত এক সঙ্গে বসে ঠিক করেছে গুড গভর্নেন্স না করলে উন্নয়ন সম্ভব না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, ইআরডি সচিব শরিফা খান প্রমুখ।
জেবি/ আরএইচ/