বাণিজ্যিক ভাবে বেড়েছে ওলকচু চাষ কৃষকের মুখে হাসি


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০:৪৭ অপরাহ্ন, ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বাণিজ্যিক ভাবে বেড়েছে ওলকচু চাষ কৃষকের মুখে হাসি

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে ওলকচুর চাষ বেড়েছে। পুষ্টিসম্মত খাদ্য হিসেবে বাজারে চাহিদা থাকায় এবছর এমনটাই দেখা যাচ্ছে। কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের কারিগরী সহায়তা ও পরামর্শে অল্প খরচে অধিক মুনাফা আয়ের স্বপ্ন পূরণ করছেন এই এলাকার কৃষক-কৃষাণীরা।

জানা যায়, কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গত বছর উপজেলায় প্রথমবারের মত মাদ্রাজী জাতের ওলকচু চাষ হয়। সেই সাফল্য দেখে এবং কৃষি বিভাগের প্রচারণায় এবছর বেড়েছে ওলকচু চাষ। এর কারণ এই উপজেলার মাটি ওলকচু চাষের উপযোগী ও কম খরচে বেশি ফলন পাওয়া যায়। ফলে নতুন চাষিরাও এতে উৎসাহিত হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০২১-২২ মৌসুমে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ১৫ জন কৃষককে ওলকচু চাষে সহায়তা করে কৃষি বিভাগ।
এছাড়াও অনেকেই নিজস্ব উদ্যোগে এই চাষ করছেন। এতে মোট ৪ একর জমিতে ওলকচু চাষ হয়। যা গত বছরের দ্বিগুণ। সরেজমিনে দেখে যায়, কৃষকরা এখন ওলকচু তুলতেছে। এ ওলকচু বাজারে প্রতিকেজি ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

খামারপাড়া গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, দেশী জাতের ওলকচুর চেয়ে মাদ্রাজীতে লাভের পরিমাণ বেশী। এজন্য কৃষি বিভাগের সহায়তায় ২০ শতক ছাড়াও নিজস্ব উদ্যোগে ৪০ শতক জমিতে ওলকচু চাষ করি। এতে মোট খরচ হয় প্রায় এক লক্ষ টাকা। অন্যদিকে মোট ফলন হয় প্রায় ২হাজার কেজি। যা বর্তমান বাজার মূল্যে বিক্রি হয় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। যা অন্য ফসলের তুলনায় অনেক কম খরচে অধিক লাভ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় বলেন, এটি একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ ও নিরাপদ সবজি। এই উপজেলার মাটি ওলকচু চাষের উপযোগী। ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রথমবার বাণিজ্যিক ভাবে ওলকচু চাষ শুরু হয়। ওলকচু আবাদ করে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় সময়ের সাথে ওলকচু চাষের জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জেবি/ আরএইচ/