বাবুল আকতার-ইলিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বাবুল আকতার-ইলিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন
মালাটি দায়ের করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন

আজাহারুল ইসলাম সুজন, ঢাকা: সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতার ও বিদেশে ‘পলাতক’ সাংবাদিক ইলিয়াছ হোসাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে নেওয়া, পুলিশের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা ছড়ানো এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানির অভিযোগে মালাটি দায়ের করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন-বাবুল আক্তারের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া এবং ভাই হাবিবুর রহমান লাবু।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। 

বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে এতে। 

বনজ কুমার এজাহারে উল্লেখ করেছেন যে, তার নেতৃত্বাধীন তদন্ত সংস্থা পিবিআই, চট্টগ্রাম মেট্রা দেশের চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলা তদন্তাধীন থাকাকালে প্রধান আসামি হিসেবে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের নাম বেরিয়ে আসলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  জেলে থাকা বাবুল আকতার মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ ও পিবিআইয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য অপর আসামীরা দেশে ও বিদেশে অবস্থান করে অপরাধ মূলক বিভিন্ন অপকৌশল এবং ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাবুল আকতার ও অন্যান্য আসামীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াছ হোসাইন ৩ সেপ্টেম্বর বিদেশে পলাতক থাকা অবস্থায় তার ফেইসবুক আইডি থেকে  ইউটিউব একাউন্ট ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনী পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে একটি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করে।  

এজাহারে বলা হয়, বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে তদন্তাধীন মিতু হত্যা মামলার তদন্তকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধসহ তদন্তকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে উল্লেখিত ভিডিও প্রচার করে। আসামি ইলিয়াছ হোসাইন ভিডিওতে প্রচারিত বক্তব্যে দেশের ভাবমূর্তি এবং দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উস্কানি, বাংলাদেশ পুলিশ এবং পুলিশের বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থা পিবিআই ও বিশেষ করে বাদির (বনজ কুমার মজুমদার) মান-সম্মান ও সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছে। যার জন্য দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে এর নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করে। 

এজাহারে ওই ভিডিওতে প্রচারিত বিভিন্ন অভিযোগ খন্ডন করে বলা হয়, আসামী ইলিয়াছের বক্তব্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধু প্রতিম দেশ ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্থ করার, রাষ্ট্রের হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বিদ্ধেষ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস করেছে।

এজাহারে আরও বলা হয়, শুধুমাত্র মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারকাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য দুই নং আসামী মোঃ হাবিবুর রহমান লাবু, ৩ নং আসামী আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও ৪ নং আসামী বাবুল আকতারদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় এবং সার্বিক সহযোগিতায় ১নং আসামী ইলিয়াছ হোসাইন অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বাংলাদেশ পুলিশ ও বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থা পিবিআই এবং বাদির মান-সম্মান চরমভাবে ক্ষুন্ন করার জন্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও  ভিত্তিহীন বক্তব্য সহকারে ফেইসবুক আইডি ও ইউটিউব একাউন্ট মাধ্যমে ভিডিও ক্লিপ আপলোড করেন। 

পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার স্বাক্ষরিত ওই এজাহারের সঙ্গে ইলিয়াছ হোসাইনের ফেসবুক ও ইউটিউব লিঙ্কসহ বিভিন্ন তথ্য যুক্ত করা হয়।

ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে বাদির পক্ষে পিবিআইয়ের একজন এসপি এজাহারটি থানায় জমা দেন। সেটি যাচাই করে মামলা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। 

জেবি/ আরএইচ/