ধ্বংসের পথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, ২রা অক্টোবর ২০২২


ধ্বংসের পথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ
৩০ বছর পূর্বে তৎকালীন সরকার নির্মাণ করেন

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) অধীনে ৪৫ কিলোমিটার বাঁধটি বালু ব্যবসায়ীদের কারণে ধ্বংসের পথে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্ব অবহেলার কারণে বালু ব্যবসায়ীরা দাপটের সাথে বালু ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার গোসাইজানী ব্রীজ থেকে পলাশবাড়ী উপজেলা হয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালী ব্রীজ পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার করতোয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি প্রায় ৩০ বছর পূর্বে তৎকালীন সরকার নির্মাণ করেন। 

বাঁধটি নির্মাণের পর থেকেই সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী-গোবিন্দগঞ্জ তিনটি উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের কৃষকসহ মাছ চাষীরা রাক্ষসী বন্যার ক্ষয়ক্ষতি থেকে বেঁচে যায় ফলে তারা সুখের স্বপ্ন রচনা করেন। বাঁধটি নির্মাণের পর কয়েকটি স্থানে ভেঙে গিয়ে কৃষকদের রোপা আমন ধান সহ নানা ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। গত ৩০ বছরে বাঁধটির তুলনামূলকভাবে সংস্কার করা হয়নি বলে জানা যায়। বাঁধের বিভিন্ন স্থানে বালু ব্যবসায়ীরা বাঁধ কেটে রাস্তা বের করে বালু ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। নদীর চর থেকে বালু ব্যবসায়ীদের ট্রাক্টর চলাচলের একমাত্র ভরসা করতোয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। 

বর্তমানে বাঁধের বিভিন্ন অংশে খালাখন্দের সৃষ্টি হয়ে তাতে সাধারণ যানবাহন সহ পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই বাঁধের উপর দিয়ে ট্রাক্টর চলাচল বন্ধে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ একান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। অপর দিকে পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের দিঘলকান্দি বেলেরঘাট ব্রীজ সংলগ্ন বাঁধের সিংহভাগ নদী গর্ভে ধ্বসে গেছে। ৩ বছরেও ভাঙ্গা বাঁধটি সংস্কার হয়নি। এলাকাবাসী জানায়, যেকোন সময় ভারী বন্যা হলে উক্ত স্থানে বাঁধটি ভেঙ্গে বন্যার পানি প্রবাহিত হয়ে অত্র এলাকার ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হবে। 

এব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হানকে একাধিক দিন মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।

জেবি/ আরএইচ/