কমছে আবাদি জমি: খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:০২ পূর্বাহ্ন, ১৩ই অক্টোবর ২০২২


কমছে  আবাদি জমি: খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা
ছবি: জনবাণী

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় প্রতিবছর কমছে দানাজাতীয় শষ্য আবাদী জমি। বাড়ছে বাগান,কলকারখানা,ইটভাটা,বসতবাড়ী। ফসল আবাদী জমি কমে যাওয়ায় খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা বাড়ছে। ৫বছরে উপজেলায় দানা ফসল জাতীয় আবাদী জমি কমেছে ১৭৬হেক্টর পরিমান জমি।


চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলায় গত ৫বছর আগে দানা শষ্য আবাদী জমির পরিমান ছিলো ২৫হাজার ৯২৬ হেক্টর। বর্তমানে জনসংখা বৃদ্ধির সাথে সাথে বসতবাড়ী,কলকারখানা,ফলের বাগান ও ইটভাটা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বর্তমানে এই আবাদী জমির সংখা কমে দাড়িয়েছে ২৫হাজার ৭৫০ হেক্টরে ৫বছরে কমেছে ১৭৬ হেক্টর জমি। 


প্রতি বছরে কমছে ৩৬ হেক্টর পরিমান এই আবাদী জমি। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও প্রতিবছর জমির পরিমান কমে যাওয়ায় খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান বলেন, খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সরকার সকল ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। 


সরকার চাষিদের সুবিধার্থে সার, তেলসহ কৃষি উপকরণ ভর্তুকি মূল্যে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে একই জমিতে একাধিকবার ফসল উৎপাদন এবং উচ্চ ফলন শীল জাত উদ্ভাবন করছেন গবেষকরা। এক ও দুই ফসলি জমি বিশেষে ৩/৪ফসলি জমিতে পরিণত করা হয়েছে। 


উপজেলার ভাটা মৌসুমে ইটভাটাগুলোতে প্রায় ২৫০ বিঘা জমি পতিত থাকতো।বর্তমানে ইটভাটা বন্ধ হওয়ার পর পতিত জমিগুলো আবাদ যোগ্যকরে তোলা হয়। তিনি আরো বলেন, জনসংখা বৃদ্ধির কারনে উপজেলায় ফসলি মাঠ গুলোতে বসতবাড়ী,কলকারখানা, ও ইটভাটা গড়ে উঠাই দানা জাতীয় শষ্যর আবাদ যোগ্য জমির পরিমান এভাবে কমতে থাকলে খাদ্য ঘাটতি আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।



আরএক্স/