মূল আসামিকে বাদ দিয়ে চার্জশিট দাখিল
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, ২৪শে অক্টোবর ২০২২
*** তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ
*** রাজশাহীতে থেকেও মামলার আসামী
***পুলিশ কনস্টেবল ও বিজিবি সদস্যকে আসামি করে চার্জশিট
ইমরান খান, ধামরাই (ঢাকা): ধামরাইয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যা চেষ্টা মামলার সঠিক তদন্ত না করেই চার্জশীট দাখিলের অভিযোগ উঠেছে তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ীক কাজে রাজশাহীতে অবস্থান করার পরও মিজানুর রহমান মিজান নামের এক ব্যক্তিকে মারামারি মামলায় আসামী করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয় মনির হোসেন নামে এক পুলিশ কনস্টেবল ও রাশেদুল আলম সুজন নামে এক বিজিবি সদস্যকেও ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের দূনিগ্রামের আব্দুল আউয়াল নামে এক যুবক। পুনরায় মামলার তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করবেন বলে জানান তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধামরাই থানার কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মো. মনিরুজ্জামান মনিরের বিরুদ্ধে মামলাটির কোন প্রকার তদন্ত না করেই আদালতে চার্জশীট দাখিলের অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী ও বিবাদিরা।
ব্যবসায়ী মো. মিজানুর রহমান মিজান বলেন- পশ্চিম সূত্রাপুর চৌরাস্তা বাজার বাসস্যান্ডে মারামারির ঘটনা সত্য। তবে আমি ব্যবসায়ীক কাজে রাজশাহীতে ছিলাম। টেলিভিশনের খবর দেখে এ বিষয়ে অবগত হই। পরদিন দ্রুত এলাকায় চলে এসে শুনি ওই মামলায় আমিও আসামী।
এরপর মামলার আইও মসিরুজ্জামান মনির ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে বিষয়টি অবহিত করি। এরপরও তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত না করেই অত্যন্ত দায়সারাভাবে আমাদেরকে জড়িয়ে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেছে। বিষয়টি খুবই ন্যাক্কারজনক।
এবিষয়ে পুলিশ সদস্য মনির হোসেন বলেন, আমি মারামারির সময়ে ছিলাম না। আমি ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ডিউটিতে ছিলাম। শত্রুতা করে আমার নাম দেয়া হয়েছে। আমি চাই পুনরায় সঠিকভাবে তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করুক।
এব্যাপারে মামলার বাদি আব্দুল আউয়াল বলেন, চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জনসম্মুখে দিনের বেলায় আমার ছোট ভাইকে খুঁটির সাথে শিকল দিয়ে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। মৃত্যু শয্যায় দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিল। দুঃখের বিষয় হচ্ছে প্রধান আসামিকেই বাদ দিয়ে চার্জশিট দাখিল করেছে। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত না করেই অত্যন্ত দায়সারা ভাবে আদালতে এ চার্জশীট দাখিল করেছে। এ প্রহসনের চার্জশিট আমি মানিনা। এর বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নেব।