ইভ্যালির লকার ভেঙে যা পাওয়া গেল
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
আলোচিত
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দু’টি লকার ভেঙে ২৫৩০ টাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণ
বেশ কিছু চেক বই পাওয়া গেছে। এর বাইরে ‘অপ্রয়োজনীয়’ কিছু কাগজপত্রও পাওয়া গেছে। লকার দু’টিতে
গুরুত্বপূর্ণ তেমন কিছু মেলেনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার
(৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ইভ্যালির ধানমন্ডি কার্যালয়ে যান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের
নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ইভ্যালির কার্যালয় থেকে লকারগুলো
বের করা হয়।
এ
সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক
ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসফিয়া সিরাত।
তিনি
বলেন, ‘একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ২টি লকার ভাঙা হয়। আপনারা সবাই দেখেছেন সেখানে
কি কি পাওয়া গেছে। আমরা অবশ্যই হতাশ। আমরা আশা করেছিলাম, এখানে অনেকগুলো টাকা পাওয়া
যাবে। যেহেতু সিন্দুক, সিন্দুকে টাকাই থাকে। কিন্তু আমরা সেখানেই মাত্র ২৫৩০ টাকার
মতো পেয়েছি, যে কারণে আমরা হতাশ!’
বিচারপতি
মানিক বলেন, ‘প্রথম যে লকারটি ভাঙা হয় সেখানে আমরা পেয়েছি ১০৭টি চেক বই। সেখানে কোনো
টাকা পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় লকার ভাঙার পর সেখানে আমরা অনেকগুলো চেক বই পেয়েছি। যেগুলোর
মধ্যে অনেকগুলো সই করা পেয়েছি। আর মাত্র ২৫৩০ টাকা পেয়েছি। কতগুলো ইনভিলাপে টাকা ছিল
বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু সেগুলো ছেঁড়া। ধারণা করছি সেখান থেকে টাকা বের করা হয়েছে। ভেবেছিলাম
জরুরি প্রয়োজন মেটাতেও অন্তত লকারে কিছু টাকা থাকবে। কিন্তু আমরা পাইনি। সে অর্থে আমরা
নিরাশ হয়েছি।
এর
আগে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের মামলায় গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের
বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল
ও তার স্ত্রী ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। তারা এখন কারাগারে রয়েছেন।
ওআ/